ইউরো ২০২৪ সম্পর্কে যা জানা দরকার
৮ জুন ২০২৪বুকমেকাররা এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে এগিয়ে রেখেছেন৷ গতবার তারা রানার আপ হয়েছিল৷ ইংল্যান্ডের পর ফেভারিট বিশ্বকাপের রানার আপ ফ্রান্স ও আয়োজক দেশ জার্মানি৷ ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইটালি আছে ষষ্ঠ স্থানে৷
ফিফা ব়্যাংকিংয়ে ইউরোতে অংশ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে আছে ফ্রান্স (২)৷ এরপর আছে বেলজিয়াম (৩), ইংল্যান্ড (৪) ও পর্তুগাল (৬)৷ জার্মানির ব়্যাংকিং ১৬৷ সে হিসেবে ইউরোপের নবম সেরা দল তারা৷ ব়্যাংকিংয়ে সবার নিচে থাকা দেশ জর্জিয়া (৭৫)৷
মোট ২৪টি দেশ ছয় গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে৷ চার দেশের একেকটি গ্রুপ থেকে প্রথম দুটি দল শেষ ১৬তে যাবে৷ এছাড়া প্রতিটি গ্রুপে তৃতীয় স্থান পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে পয়েন্ট বিবেচনায় সেরা চার দেশও শেষ ১৬তে যাবে৷ কোনো গ্রুপে প্রথম দুটো দলের পয়েন্ট সমান হলে নিজেদের মধ্যে খেলার ফল বিবেচনায় প্রথম, দ্বিতীয় ঠিক করা হবে৷
১০টি স্টেডিয়ামে ৫১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে৷ বার্লিনের অলিম্পিয়া স্টেডিয়াম (আসনসংখ্যা ৭১ হাজার), মিউনিখ (৬৬ হাজার) ও ডর্টমুন্ডে (৬২ হাজার) সর্বোচ্চ ছয়টি ম্যাচ হবে৷ মিউনিখে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে জার্মানি ও স্কটল্যান্ড৷ ফাইনাল হবে বার্লিনে৷
পাঁচটি করে ম্যাচ হবে স্টুটগার্ট (আসনসংখ্যা ৫১ হাজার), হামবুর্গ (৪৯ হাজার), ড্যুসেলডর্ফ (৪৭ হাজার), ফ্রাঙ্কফুর্ট (৪৭ হাজার) ও কোলনে (৪৩ হাজার)৷ লাইপজিগ (৪০ হাজার) ও গেলসেনকিরশেনে (৫০ হাজার) হবে চারটি করে ম্যাচ৷ ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের সময় ড্যুসেলডর্ফে কোনো ম্যাচ হয়নি৷
টুর্নামেন্টের সময়সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ এছাড়া সন্ত্রাসী ও হুলিগানেরা যেন জার্মানিতে ঢুকতে না পারেন সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ৷ গত টুর্নামেন্টের আয়োজক ব্রিটেন নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনায় ১,৬০০ দর্শককে সেই দেশে ঢুকতে দেয়নি৷
জার্মান পুলিশ ছাড়াও কয়েকশ বিদেশি পুলিশও নিরাপত্তায় থাকবেন৷ এর মধ্যে ফ্রান্স থেকে অনেক পুলিশ থাকবেন৷ কারণ ইউরোর পরপর ফ্রান্সে অলিম্পিক (২৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট) ও প্যারালিম্পিক (২৮ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে৷
স্টেফান নেস্টলার/জেডএইচ