1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোজোনকে প্রবৃদ্ধির পথে ফেরানোর চেষ্টা

৩ ডিসেম্বর ২০১৪

ইউরো এলাকার দেশগুলি এখনো তাদের মতবিরোধ কাটিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারছে না৷ এই অবস্থায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিয়ে সেই কাজ করার উদ্যোগ নিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1DyDS
Verschiedene Euroscheine
ছবি: picture alliance/blickwinkel/McPHOTO

বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকে ইউরো এলাকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আরও ‘স্টিমুলাস' ঘোষণা করা হবে – এই প্রত্যাশা বাড়ছে৷ আসলে জার্মানির চাপে স্টিমুলাস ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না৷ অন্যান্য দেশগুলি প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজে বিলম্ব করছে৷ ফলে এই অবস্থায় আবার আসরে নামতে হচ্ছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক-কে৷ পরিস্থিতি সাময়িকভাবে সামাল দিতে ইসিবি নানা পদক্ষেপের ঘোষণা করে আসছে৷ ইউরো এলাকার অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি উন্নতির লক্ষ্যে আগামী বছরের মার্চ মাসে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ড কেনার এক কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে৷ ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতির হার কমে মাত্র ০.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷ অথচ স্বাভাবিক মাত্রা হওয়া উচিত দুই শতাংশের একটু কম৷ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও থমকে গেছে৷ এই অবস্থায় বাড়তি নোট ছেপে ইসিবি মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে চায় – যাকে ‘কোয়নটিটেটিভ ইজিং' বা ‘কিউই' বলা হয়৷ সম্ভবত ইসিবি-র ৫ই মার্চের বৈঠকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে৷ এদিকে ইউরোপের ব্যাংকগুলির জন্য ‘স্ট্রেস টেস্ট'-এর পর তাদের ব্যবসা যথেষ্ট লাভজনক কিনা, তাও পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছে ইসিবি৷

ইউরো এলাকায় সংস্কার ও ব্যয় সংকোচের চাপের পাশাপাশি কিছু কাঠামোগত পরিবর্তনের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে৷ যেমন জার্মানি, ফ্রান্স ও ইটালি কর্পোরেট ট্যাক্স-এর ক্ষেত্রে ইইউ-র মধ্যে সমতা আনার দাবি জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশনের কাছে৷ বিনিয়োগের লোভে সদস্য দেশগুলি যাতে একতরফাভাবে করের হার কমাতে না পারে সেটাই হলো উদ্দেশ্য৷ ইউরো এলাকার তিন প্রধান অর্থনৈতিক শক্তির এই সম্মিলিত উদ্যোগ সফল হলে ২০১৫ সালের শেষেই ‘অ্যান্টি-বিইপিএস' নামের এই নির্দেশিকা কার্যকর হতে পারে৷

এদিকে জার্মানির পুঁজিবাজার গত জুন মাসের পর আবার ১০,০০০ মার্ক অতিক্রম করেছে৷ সেই সঙ্গে পেট্রোলিয়ামের পড়তি মূল্য, ইউরো-র দুর্বল বিনিময় মূল্য, আন্তর্জাতিক সংকটগুলির তীব্রতা কমে যাওয়ার ফলে জার্মানির অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে বলেও বাজার মনে করছে৷

সোমবার ইউরোপের বাজারে সার্বিকভাবে কিছুটা দরপতন দেখা গেছে৷ ইউরো এলাকার অর্থনৈতিক তথ্য-পরিসংখ্যান নিয়ে দুশ্চিন্তা এর অন্যতম কারণ৷ তবে মঙ্গলবার বাজার আবার কিছুটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছিলো৷ জ্বালানি কোম্পানিগুলির শেয়ারের মূল্য বেড়ে যাওয়ার ফলে এই প্রবণতা দেখা গেছে৷

এসবি / জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য