ইউরোপে সেরা ১১টি শহুরে সৈকত
ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেক পর্যটকের কাছে এমন শহর পছন্দ যেখানে গেলে শহরের আমেজও পাওয়া যায়, আবার চাইলে একটুখানি সৈকতে হেঁটেও আসা যায়৷ ছবিঘরে ইউরোপের এমনই কিছু শহরের কথা থাকছে৷
বার্সেলোনা
এক দু’টি নয়, বার্সেলোনায় সৈকত আছে সাতটি৷ গত তিন দশকে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে পর্যটন বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ছিল বার্সেলোনাতে৷ ১৯৯০ সালে ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন পর্যটক অন্তত একরাত বার্সেলোনাতে কাটিয়েছিলেন৷ ২০১৬ সালে এসে সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১৭ মিলিয়নে৷
সান সিবাস্টিয়ান
স্পেনের বাস্ক অঞ্চলের উপকূলীয় এই শহরেও বেশ কয়েকটি বিচ আছে৷ সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ‘লা কনচা বে’৷ স্প্যানিশ কনচা শব্দের অর্থ শামুকের খোল৷ সৈকতটি দেখতে সেরকম বলে এর এমন নাম হয়েছে৷ বালুময় বিচটি ৪০ মিটারেরও বেশি প্রশস্ত৷ তবে যাঁরা সার্ফিং করেন তাঁদের পছন্দ থুরিওলা বিচ৷
নিস
দক্ষিণ ফ্রান্সের নিস শহরের সৈকত ধরে প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক চলে গেছে৷ সেখান দিয়ে হাঁটতে পছন্দ করেন পর্যটকরা৷ তবে নিসের সৈকতে নুড়ি থাকায় সেখানে সমুদ্রস্নান খুব একটা আরামদায়ক নয়৷
মার্সেই
গ্রীষ্মে তামপাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে পর্যটকরা প্লাজ ডে কাতালানস সৈকতে চলে যান৷ ভিয়ো পোর্ট থেকে সেখানে খুব সহজেই হেঁটে যাওয়া যায়৷ তবে ফ্রান্সের অন্যান্য সৈকতের মতো ঐ বিচেও প্রবেশে অর্থ লাগে৷ তাই শহরের কাছেই থাকা ছোট-বড় কোভগুলো একটু বেশি জনপ্রিয়, কেননা সেখানে যেতে টাকা লাগে না৷
ট্রোভিল
ফ্রান্সের নরম্যান্ডি এলাকার অন্যতম সুন্দর সৈকতটি ট্রোভিলে অবস্থিত৷ বালুময় এই বিচের পাশেই ফ্রান্সের প্রথম সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্ট গড়ে উঠেছিল৷ ঊনিশ শতকে সেখানে পর্যটকদের জন্য কাঠের পায়ে হাঁটা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল৷
দ্য হেগ
শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র ১৫ মিনিটেই সৈকতে যাওয়া যায়৷ শেভেনিঙে এলাকাটি ছোট্ট মাছ ধরার গ্রাম থেকে ক্রমেই নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্ট এলাকা হিসেবে গড়ে উঠেছে৷
ওস্টএন্ড
বেলজিয়ামের এই সৈকতে গেলে নয় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বালুর সৈকত পাওয়া যাবে৷ একসময় রাজপরিবারের গ্রীষ্মকালীন বাসস্থান ছিল সেখানে৷
কামোলগি
ইটালির এই সৈকত এলাকায় ছোট ছোট শহর আছে৷ আর প্রতিটি শহরে আছে একটি করে বিচ৷ দুপুরে খাবার আগে কাঁধে তোয়ালে নিয়ে একটুখানি পানিতে দাপাদাপি করা যায়৷ আর সন্ধ্যা হলে সৈকত সংলগ্ন খাড়া পাহাড় আর জেটিতে মেতে ওঠা যায় রোম্যান্টিকতায়৷
ভেনিস
ভেনিসে গিয়ে সৈকতের খোঁজ পেতে আপনাকে পিয়াৎসা সান মার্কো থেকে ভাপোরেততে (ওয়াটার বাস) করে লিডো দ্বীপে যেতে হবে৷ সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট৷ ঊনিশ শতক থেকেই সৈকতটি পর্যটকদের বেশ প্রিয়৷
ডুবরনিক
ক্রোয়েশিয়ার এই সৈকত শহরের সিটি সেন্টারে গেলে মধ্যযুগীয় আমলের চিহ্ন পাওয়া যায়৷ অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের ধারে অবস্থিত সবচেয়ে সুন্দর শহরগুলোর একটি ডুবরনিক৷ ১৯৭৯ সাল থেকে ডুবরনিক শহরের পুরনো অংশের নাম ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে৷
হামবুর্গ
সৈকত হতে হলে সাগরের পাশের শহর হতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই৷ তাই এলবে নদীর তীরের শহর জার্মানির হামবুর্গের বিচে গেলে বাড়তি পাওনা হিসেবে বড় বড় কনটেনার জাহাজের আসা যাওয়া দেখতে পাওয়া যায়৷