নির্যাতনের শিকার নারী
৮ মার্চ ২০১৪ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য দেশগুলিতে সমীক্ষা চালিয়ে মারাত্মক এই পরিস্থিতির কথা জানা গেছে ৷ ইইউ মৌলিক অধিকার সংস্থা – এফআরএ প্রায় ৪২,০০০ নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ বলেছেন, তাঁরা কোনো না কোনো সময় শারীরিক ও যৌন হামলার শিকার হয়েছেন৷ সংস্থার প্রধান মর্টেন কিয়েরুম বলেছেন, পথে ঘাটে, কাজের জায়গায়, এমনকি নিজেদের বাড়িতেও নারীরা নিরাপদ নন৷
ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের নারীরা সবচেয়ে বেশি হামলার কথা জানিয়েছেন৷ এই তিনটি দেশে যথাক্রমে ৫২, ৪৭ এবং ৪৬ শতাংশ নারী নিজেদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন৷ কাউকে মারধর করা হয়েছে, শরীরে আগুন দেওয়া হয়েছে, গলায় দড়ি দিয়ে দমবন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে, ধর্ষণ বা অন্যান্য যৌন নির্যাতন করা হয়েছে৷ ১৫ বছর বয়স থেকেই এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেকের৷
স্পেন, ইটালি ও গ্রিসের মতো ইউরোপের দক্ষিণের দেশগুলিতে নারীদের অবস্থা আপাতদৃষ্টিতে কিছুটা ভালো৷ তবে এফআরএ-র গবেষকদের মতে, শুধু পরিসংখ্যান থেকে এমনটা দাবি করা যায় না যে ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে নারীদের উপর বেশি নির্যাতন চলে বা দক্ষিণে নারীদের অবস্থা তুলনামুলকভাবে ভালো৷ আসলে উত্তরের দেশগুলির নারীরা দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে অনেক সহজে নিজেদের নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কথা বলার সাহস রাখেন৷
অনেক নারীর জন্য পরিবারের মধ্যেও সুরক্ষার নিশ্চয়তা নেই৷ স্বামী বা সঙ্গীই তাঁদের উপর অত্যাচার চালিয়ে থাকে৷ শিশু ও কিশোর বয়সে তাঁদের উপর বাবা-মা নির্যাতন করেছেন, এমন ঘটনাও বিরল নয়৷
নারী নির্যাতনের প্রবণতা বন্ধ করতে স্পেনের সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে এফআরএ-র রিপোর্টে৷ এ বিষয়ে সমাজে সচেতনতা বাড়াতে অনেক প্রচার অভিযান চালানো হয়েছে, যার ফলও পাওয়া যাচ্ছে৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)