ইউরোপের সব আজব হোটেল
১০ মে ২০১৮বাস্তবিক একটি ‘দৈত্যাকার' হোটেল৷ গ্রিক কিংবদন্তির সেই ‘ট্রোজান ঘোড়া' যেন আবার জীবন্ত হয়ে উঠেছে৷ বেলজিয়ামের লিয়েজ শহরের কাছে এই বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্ট হোটেলটির অতিথিরা যেন সবাই ট্রয়ের সৈন্য...
ইউরোপের চমকদার হোটেল পর্যায়ে ‘ট্রোজান ঘোড়া' হোটেলটি পঞ্চম স্থানে৷ আদত ট্রোজান ঘোড়ার পেটে সৈন্যরা এতো আরামে থাকতো কিনা, বলা শক্ত৷
ওপরের জানলা দিয়ে চারদিকের দৃশ্যটা হল এই হোটেলের ‘হাইলাইট'৷ জয়স্টিক দিয়ে আবার ঘোড়ার মাথা উঁচু-নীচু করা যায়৷
ফোর্ট হোটেল
চতুর্থ স্থানে যে হোটেলটি রয়েছে, সেটি দেখলেও প্রথমে হোটেল বলে বোঝবার উপায় নেই৷ ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূল থেকে মাইল খানেক দূরে স্পিটব্যাংক ফোর্ট৷ দেড়শ' বছরের পুরনো সামুদ্রিক দুর্গটির ভিতরে কিন্তু বিলাসের কোনো অভাব নেই৷ আগে যেখানে গোলাবারুদ রাখা থাকত, সেখানে আজ অতিথিদের স্বাগত জানানো হয়৷
হোটেলের ম্যানেজার ডমিনিক হোন্স শোনালেন, ‘‘এই ঘরটায় আগে কামান বসানো ছিল – সাগরের দিকে তাক করা সাড়ে বারো ইঞ্চির কামান৷ সেই কামানই ঘরটা জুড়ে ছিল৷''
অতিথিরা এখানে রাত কাটাতে আসেন – গোটা ছুটি কাটাতে নয়৷
কনটেনার হোটেল
তৃতীয় স্থানে যে হোটেলটি আছে, সেটিকে পাবেন বালটিক সাগরের ভার্নেম্যুন্ডে শহরের বন্দর এলাকায়: কনটেনারের উপর কনটেনার বসিয়ে তৈরি হোটেল, যেখানে ১৮৮ জন পর্যন্ত অতিথির রাত্রিবাসের ব্যবস্থা আছে৷
তবে ক্লস্ট্রোফোবিয়া থাকলে চলবে না৷ অপরদিকে ১৯ ইউরোতেই এখানে রাত কাটানো যায়, তবে সিঙ্গল রুমে নয়৷
ক্রেন হোটেল
দ্বিতীয় স্থানে, আমস্টারডামের একটি হোটেল, যা বস্তুত একটি সুবিশাল ক্রেন! লিফ্ট দিয়ে ৪৫ মিটার উঠলে তবে ‘রুমে' পা দেওয়া যায়৷ তবে ভিউটা যা পাবেন, তা সারা জীবন ভুলবেন না, এ গ্যারান্টি দেওয়া যেতে পারে৷ একতলা নয়, দু'তলা হোটেল – ঠিক সেখানে, যেখানে আগে ক্রেন চালকের কেবিনটা ছিল৷ গোটা হোটেলটা আজও বাতাসে নড়ে – ভয় পেলে চলবে না কিন্তু!
রুপোর খনিতে হোটেল
এবার আমাদের নাম্বার ওয়ান৷ এই হোটেলটি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের দক্ষিণে৷ হোটেল তো নয়, একটি পরিত্যক্ত রুপোর খনি৷ লিফটে চড়ে খনির অতলে নামতে লাগে পাক্কা পাঁচ মিনিট৷ আপনার হোটেল রুমটি হবে মাটির ১৫৫ মিটার নীচে, যেখানে সাধারণত ঘুটঘুটে অন্ধকার আর তাপমাত্রা সাধারণত দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ওঠে না৷ পাথর কেটে তৈরি ‘হোটেল রুমটিতে কিন্তু হিটিং আছে৷ হঠাৎ ভয় পেলে এক ওপরে টেলিফোন করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই৷ নয়তো রুপোর খনির পরীদের গান শুনতে পারেন...৷
প্রতিবেদন: আন্টিয়ে বিন্ডার/এসি