ইউরোপের সবচেয়ে বড় কয়লা খনি বিরোধী প্রতিবাদ
কপ২৩-এর ঠিক আগে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কয়লা খনি বিরোধী কর্মীরা জার্মানির হাম্বাখ কয়লা খনিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন৷ তাঁদের কথায়, কয়লার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনা যাবে না৷
কয়লা ত্যাগ করুন – এখনই !
বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা ব্যবহারের বিরোধীতা জানিয়ে কপ২৩-এর ঠিক একদিন আগে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সমবেত হন৷ বিক্ষোভকারীদের সবাই সেসময় সাদা পোশাক পরে প্রায় ১০ কিলোমিটার হেঁটে হাম্বাখ কয়লা খনি পর্যন্ত যান৷
ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করুন
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী কয়লা খনি হলো হাম্বাখ৷ এর সম্প্রসারণের কারণে ইতিমধ্যে ১ হাজার বছরের পুরনো বন কেটে ফেলা হচ্ছে৷ পরিবেশবাদীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যখন বন শহরে সম্মেলন চলছে তখন সেখান থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে এই খনি থাকাটা খুবই হাস্যকর একটা ব্যাপার৷
শান্তিপূর্ণ লড়াই
বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও, রবিবারের প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল একেবারে শান্তিপূর্ণ৷ রঙিন ব্যানার, চেহারায় নানা অংকন, কেউ কেউ আবার গিটার এনে গানও করেছেন দিনের প্রথম ভাগে৷
জীবনের ঝুঁকিতে দৃষ্টি আকর্ষণ
বিক্ষোভকারীরা খনির কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশ কর্মকর্তারা চারপাশ থেকে তাঁদের ঘিরে রাখে৷ স্পিকারে তারা ঘোষণা করে যে, বিক্ষোভকারীরা অন্যের ব্যক্তিগত জায়গায় ঢুকে পড়েছেন৷ আর তাতে নাকি নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিলতা হতে পারে৷
পালাও
খনিরা কাছে যেতেই বিক্ষোভকারীদের দীর্ঘ লাইনে হঠাৎ করেই কেউ কেউ ফুঁসে ওঠেন৷ অনেকেই চিৎকার ও দৌড়াতে শুরু করে দেন৷
একটি একদিনের সাফল্য
বিক্ষোভকারীদের মতে, তাঁদের দাবি তুলে ধরার সবচেয়ে ভালো উপায়ই ছিল এই কয়লা খনির চারপাশ অবরোধ করা৷ এতে করে কিছু সময়ের জন্য হলেও তো খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ ছিল! তাই কিছুক্ষণের এই বিরতিকে বিরাট সাফল্য হিসেবে দেখছেন বিক্ষোভকারীরা৷
কয়লা: আর না...
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, বিদ্যুতের জন্য কয়লার ওপর এতটা নির্ভরশীলতা ইউরোপের আর কোথাও নেই৷ ‘কয়লা ত্যাগ করুন, জলবায়ু রক্ষা করুন’ লেখা ব্যানারও সেদিন তাই চোখে পড়ে৷
শেষ পর্যন্ত
রবিবারের প্রতিবাদ কর্মসূচির শেষ দিকে বিক্ষোভকারীদের দু’টি দল মূল দল থেকে তাঁদের নেতাদের নিয়ে ভাগ হয়ে যায়৷ ছবিতে নিশ্চয় দেখতে পাচ্ছেন পুলিশ তাঁদের প্রতিরোধ করতে কীভাবে প্রস্তুত ছিল৷
এখনই সময়
একদিনের জন্য হাম্বাখ খনি বন্ধ করে দিতে সফল হন বিক্ষোভকারীরা৷ তবে এটা দেখতে হবে যে শেষ পর্যন্ত রাজনীতিবিদরা ‘কপ২৩’ সম্মেলনে কয়লা খনি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী কোনো পদক্ষেপ নেন কিনা৷