1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

ইটালি, ভ্যাটিকান সফরে জেলেনস্কি

১৩ মে ২০২৩

গেল বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর, এটাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রথম ইটালি সফর৷ কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার এই রোম সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4RJ8c
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলার পর প্রথমবারের মতো ইটালি সফরে এলেন জেলেনস্কি৷
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলার পর প্রথমবারের মতো ইটালি সফরে এলেন জেলেনস্কি৷ছবি: Presidenza dela Repubblica/Independent Photo Agency Int./IMAGO

ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশেই সফরে এসেছেন জেলেনস্কি। কিন্তু ইটালি সফরের বিশেষ গুরুত্ব বুঝতে পারছেন জেলেনস্কিও। রোমে পৌঁছেই একটি টুইট করেছেন তিনি৷
তিনি লিখেছেন, ‘‘আজ রোমে৷ আমি ইটালির প্রেসিডেন্ট সের্গিও মাত্তারেলা, প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি এবং পোপের সঙ্গে বৈঠক করব৷ ইউক্রেনের জয়ের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর৷’’

ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে নিজের সম্মতির কথা আগেই জানিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস৷ এ বছরের ৩০ এপ্রিল হাঙ্গেরি সফরে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘(রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) এ বিষয়ে একটি উদ্যোগ চলমান আছে, তবে এখনও সেটা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি৷’’
সেদিন এর বেশি কিছু অবশ্য বলতে রাজি হননি পোপ৷ তাই জেলেনস্কির সঙ্গে পোপের বৈঠকটিও আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে৷
এ সপ্তাহের শুরুতে, ভ্যাটিকানে রাশিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আভদেবের সঙ্গেও দেখা হয়েছিল ফ্রান্সিসের৷ ইটালীয় সংবাদপত্র ইল মেসাগেরো জানিয়েছে, বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ভ্যাটিকান৷
শান্তির জন্য বরাবরই আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন পোন্টিফ৷ কিন্তু কিয়েভ এবং মস্কোর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, তার প্রস্তাবটিতে এখনও তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি৷ 
এদিকে, গুঞ্জন রয়েছে রোম সফর শেষে জার্মানি আসতে পারেন জেলেনস্কি৷ তবে বিষয়টি এখনও কোনো পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি৷

ইউক্রেনে জার্মানির সামরিক সহায়তা
ইউক্রেনকে আরো তিনশো কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থের সামরিক সহযোগিতা দিতে যাচ্ছে জার্মানি৷ শনিবার জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জার্মানির পক্ষ থেকে এটি এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় সহযোগিতা৷
সহযোগিতা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে, ২০টিরও বেশি মার্ডের ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিক্যাল, ৩০টি লিওপার্ড-ওয়ান ট্যাংক এবং চারটি আইআরআইএস-টি-এসএলএম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম৷ 
এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, ‘‘আমরা সবাই আশাকরি, ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে রাশিয়ার এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে এমন কোনো কিছু এখনও দৃশ্যমান নয়। এ কারণে যতদিন প্রয়োজন ততদিন পর্যন্ত যতটা সম্ভব সাহায্য করে যাবে জার্মানি৷’’
জার্মানি গত বছরও ইউক্রেনকে দুই বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা দিয়েছিল৷

মানসিকভাবে হেরে গেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
শুক্রবার রাতে দেয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, পরাজয়ের জন্য রাশিয়ানরা প্রস্তুত রয়েছেন৷
তিনি বলেন, ‘‘এরমধ্যেই চলমান এই যুদ্ধে মানসিকভাবে হেরে গেছেন রাশিয়ানরা৷ এখন তাদেরকে প্রতিনিয়ত চাপের মধ্যে রাখতে হবে৷’’
ইউক্রেন দাবি করেছে, বাখমুতের কাছে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে বেশ কিছু ভূমি পুনরুদ্ধার করেছে৷ শুক্রবার মস্কো স্বীকার করেছে, তাদের বাহিনী শহরের উত্তরের দিকে ফিরে গেছে৷

টিএম/এডিকে (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)