ইটালিতে সব ‘নব্য-ফ্যাসিস্ট’ দল নিষিদ্ধ করার দাবি
৯ জানুয়ারি ২০২৪নব্য-ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে পরিচিত এমএসআই-এর সাবেক প্রধান কার্যালয়ের সামনে গত রোববার সমাবেশ করেছে কট্টর ডানপন্থিরা৷ এমএসআই থেকেই পরবর্তীতে ব্রাদার্স অব ইটালির উত্থান হয়, যার প্রতিষ্ঠাতাদের একজন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি৷
দক্ষিণ পূর্ব ইটালিতে নব্য-ফ্যাসিস্ট তিন নেতার ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সমাবেশ আয়োজন হয়৷ তাদের দুইজনকে গুলি করে হত্যা করেছিল সন্দেহভাজন কট্টর বামপন্থি বিদ্রোহীরা৷ এর ফলে সৃষ্ট দাঙ্গায় পুলিশের গুলিতে তৃতীয়জনের মৃত্যু হয়৷
রোববারের সমাবেশের ভিডিওতে অংশগ্রহণকারীদের‘ফ্যাসিস্ট কায়দায়’ স্যালুট ও স্লোগান দিতে দেখা যায়৷ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন সরকারবিরোধীরা৷ মধ্যপন্থি হিসেবে পরিচিত অ্যাকশন পার্টির প্রধান কার্লো ক্যালেন্ডা বলেন, ‘‘এটি ইউরোপীয় গণতন্ত্রের জন্য অবমাননাকর ও অগ্রহণযোগ্য৷''
নব্য-ফ্যাসিস্টরা তাদের পূর্বসুরীদের স্মরণে প্রতিবছর এই আয়োজন করলেও সেখানে ফ্যাসিস্ট ভাবধারার বহিঃপ্রকাশের বিরোধিতা করে আসছে বিভিন্ন দল৷ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা এলি শ্লাইন বলেন, ‘‘দেখে মনে হয় এটা ১৯২৪ সাল৷’’ ফ্যাসিস্ট নেতা বেনিতো মুসোলিনির নির্বাচনে জয়লাভ ও বহুদলীয় গণতন্ত্র নিষিদ্ধের বছর ছিল ১৯২৪৷ শ্লাইন বলেন, ‘‘যা ঘটেছে তা অগ্রহণযোগ্য৷ সংবিধান অনুযায়ী নব্য-ফ্যাসিস্ট দলগুলোকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে৷''
যুদ্ধ পরবর্তী ইটালির সংবিধান মুসোলিনির দলকে নিষিদ্ধ করে৷ কিন্তু কট্টর ডানপন্থিরা একই ভাবধারায় ভিন্ন নামে নতুন নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করেছে৷
নব্য-ফ্যাসিস্টদের সমাবেশ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি ক্ষমতাসীন জোটের অংশীদার ব্রাদার্স অব ইটালি৷ তবে কিছুটা মধ্যপন্থি হিসেবে পরিচিত ফোর্ৎজা ইটালিয়ার নেতা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্টনিও টাজানি বলেছেন, ‘‘একনায়কতন্ত্রের যেকোন উদযাপন নিষিদ্ধ করা উচিত৷'' তিনি বলেন, ‘‘ইটালিতে আইনে বলা আছে আপনি ফ্যাসিবাদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করতে পারবেন না৷''
ইটালির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মেলোনি তরুণ বয়সে মুসোলিনির ‘গুণমুগ্ধ' হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷ তবে সেই অবস্থান থেকে এখন সরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন৷ ২০২১ সালে তিনি বলেছেন, তার দলে ‘ফ্যাসিবাদ, বর্ণবাদ ও ইহুদিবিদ্বেষের' কোনো জায়গা নেই৷
এফএস/এসিবি (রয়টার্স)