খালি হচ্ছে গ্রিক শরণার্থী ক্যাম্প
২৪ মে ২০১৬গ্রিক পুলিশ মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইডোমেনি ক্যাম্পের ৮ হাজার ৪০০-র মতো শরণার্থীকে সরিয়ে নিচ্ছে তারা৷ এজন্য পুলিশের অপারেশনে ব্যবহার করা হচ্ছে ৪০০ পুলিশ সদস্য এবং একটি হেলিকপ্টার৷ সরকারের মুখপাত্র গিয়র্গস ক্রিটসিস জানিয়েছেন, শরণার্থীদের সরিয়ে নিতে পুলিশ কোনো শক্তি প্রয়োগ করবে না৷ আর পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সপ্তাহখানেক লাগবে৷
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে ক্রিটসিস বলেন, ‘‘যারা তাদের ব্যাগ গুছিয়ে নিয়েছে তারা চলে যাবে, কেননা, আমরা এই ইস্যুর ইতি টানতে চাচ্ছি৷ যদিও আমরা নির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ বলছি না, তবে মোটামুটি সপ্তাহখানেকের মধ্যে ক্যাম্প খালি করা হবে৷''
ইডোমেনিতে থাকা ডয়চে ভেলের প্রতিবেদক অলিভার সালেট এবং মারিয়ানা কারাকুলাকি জানিয়েছেন, পুলিশ পুরো এলাকা সিল করে ফেলেছে এবং সাংবাদিকদের চলে যেতে বলেছে৷
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্যাম্পে থাকা শরণার্থীদের সরিয়ে নতুন নির্মিত একটি ক্যাম্পে নেয়া হচ্ছে, যেটা গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেসালেনিকির কাছে অবস্থিত৷
সীমান্তে আটকে থাকা শরণার্থীরা
চলতি বছরের শুরুর দিকে মেসিডোনিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দিলে ইডোমেনিতে শরণার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে৷ বিশেষ করে যারা জার্মানি এবং সুইডেনসহ ইউরোপের অপেক্ষাকৃত ধনী দেশগুলোতে যেতে চাচ্ছিলেন তারা সীমান্ত বন্ধ থাকায় ইডোমেনিতে আটকে পড়েন৷
সীমান্ত বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় দশ লাখ অভিবাসী দেশটি হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন৷ তবে গত মার্চে তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক চুক্তির পর শরণার্থী এবং অভিবাসীদের ইউরোপমুখী স্রোতে টান পড়েছে৷ নতুন চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিসে থাকা শরণার্থীদের তুরস্কে ফেরত পাঠানো হবে যদি না তারা সফলভাবে গ্রিসে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে সফল হন৷
মানবেতর জীবনযাপন
ইডোমেনিতে থাকা অধিকাংশ অভিবাসী সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং ইরাক থেকে আসা৷ শীত এবং বর্ষা তারা কাটিয়েছেন ছোট তাবুতে বসবাস করে৷ গ্রিসের কর্তৃপক্ষ গত কয়েকমাস ধরে ক্যাম্পটি বন্ধ করার চেষ্টা করছিল৷
এআই/এসিবি (এপি, ডিপিএ, এএফপি)