1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইতিমধ্যে নির্বাচন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ইমরান সালেহ প্রিন্স

১৪ জানুয়ারি ২০২৫

স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চলতি বছরের মাঝামাঝিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত রোডম্যাপ ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

https://p.dw.com/p/4p8nX

সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতেই মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংবাদ সম্মেলনে তিনি চলতি বছরের মাঝামাঝিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বারবার করে বলছি যে, নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এটা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট বিষয়। আমরা মনে করি যে, এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ জুলাই-অগাস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। এই কারণে আমরা সরকারকে আহ্বান জানাতে চাচ্ছি, নির্বাচন কমিশনকেও আহ্বান জানাচ্ছি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি- দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই বছরের মাঝামাঝি সময়েই মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে পারি।''

গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছিলেন, ভোট কবে হবে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কতটা সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়া হবে, তার ওপর। মোটাদাগে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।'' পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ২০২৬ সালের জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ইমরান সালেহ প্রিন্স ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে নির্বাচন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমরা দেখছি, দেশের ভেতর থেকে এবং বাইরে থেকেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ফলে যত দ্রুত একটা নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়, সেটা দেশের সবার জন্য মঙ্গল। আমরা তো সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দিয়েছি। আমরা তো তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চাইনি। এক বছর যৌক্তিক সময়। বিএনপি সেই দাবিই করেছে।”