ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
কলম্বোর পি সারা ওভালে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ৷ নিজেদের শততম টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখার এর চেয়ে ভালো উপায় আর কী হতে পারতো? ছবিঘরে থাকছে ঐতিহাসিক এ জয়ের কিছু মুহূর্ত এবং জয়ের নায়কদের কথা....
মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং
দীনেশ চান্ডিমালের সেঞ্চুরির সুবাদে প্রথম ইনিংসে খুব বড় স্কোরের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা৷ তা যে সম্ভব হয়নি, তার অনেকটা কৃতিত্ব বাংলাদেশের তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের৷ ৫০ রানে মাত্র দু'টি উইকেট নিলেও প্রতিপক্ষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছিলে তিনি৷ দ্বিতিয় ইনিংসেও নিয়েছেন ৭৮ রানে ৩ উইকেট৷
মেহেদি হাসান মিরাজও কম যাননি
তবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার স্পিনার মেহেদিন হাসান মিরাজ৷ ৯০ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি৷ দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন মাত্র এক উইকেট৷ তবে সেই উইকেটটা ছিল প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান চাণ্ডিমালের৷
সাকিবের সেঞ্চুরি
ইনিংসের শুরুতে খুব নড়বড়ে ছিল তাঁর ব্যাটিং৷ তবে উইকেটে থিতু হওয়ার পর আর ফিরে তাকাননি সাকিব আল-হাসান৷ তাঁর অসাধারণ এক সেঞ্চুরি (১১৬) বাংলাদেশকে প্রাথমিক বিপদ কাটিয়ে লিড নিতে সহায়তা করে৷
বল হাতেও উজ্জ্বল সাকিব
ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও সাকিব সফল৷ শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই বাংলাদেশের সফলতম বোলার৷ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন দুই উইকেট৷ এমন অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সের জন্য সিরিজ সেরার পুরস্কারটাও তাঁর হাতেই উঠেছে৷
তামিমের অনবদ্য ৮২
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা কিন্তু ভালো হয়নি৷ প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা (৬১) সৌম্য সরকার এবার (১০) ব্যর্থ৷ তারপর রানের খাতা না খুলেই ইমরুল কায়েস আউট৷ ২২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন ধুঁকছে৷ সেখান থেকে যে স্মরণীয় জয়টা এলো, তার পেছনে ওপেনার তামিম ইকবালেরই সবচেয়ে বড় অবদান৷ ১২৫ বলে সাতটি চার ও একটি ছক্কার সহায়তায় ৮২ রানের অনবদ্য এক ইনিংসের জন্য ম্যান অব দ্য ম্যাচও হয়েছেন তিনি৷
মুশফিক, সাব্বির, মোসাদ্দেকের অবদান
বাংলাদেশের শততম টেস্টে তাঁর অভিষেক৷ অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ৭৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন৷ এছাড়া সাব্বির প্রথম ইনিংসে করেন ৪২ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১ রান৷ দলের বিপর্যয়ে হাল ধরার দায়িত্ব এবারও পালন করেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম৷ প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫২ রান৷ দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদি হাসান মিরাজ উইনিং স্ট্রোকটা নেয়ার সময় ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি৷