ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
৭ আগস্ট ২০১০বন্যা শুরু হয়েছে প্রায় দু'সপ্তাহ হতে চললো৷ এ পর্যন্ত ১,৬০০ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে৷ জাতিসংঘ দিয়েছে এই তথ্য৷ আর বন্যায় যে পরিমাণ লোক আক্রান্ত হয়েছে সেটা শুধু খাইবার পাখতুনখা ও পাঞ্জাব প্রদেশের৷ এখনো সিন্ধু প্রদেশের হিসেব পাওয়া যায়নি৷ তাইতো প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি একে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ শুক্রবার টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন৷ এছাড়া ঐ বক্তব্যে তিনি সাহায্যের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি ভিত্তিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন৷
ত্রাণ তৎপরতা
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের আগে থেকেই কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে৷ এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন, ব্রিটিশ ও ফরাসি সাহায্য সংস্থা৷ এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এই বন্যাকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানিদের মধ্যে দেশটি সম্পর্কে যে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে তা দূর করতে চাইছে৷ যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে সাড়ে তিন কোটি ডলার সাহায্যের অঙ্গীকার করেছে৷ এছাড়া মার্কিন উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারগুলো কাজ করে যাচ্ছে৷ ওষুধ, হালাল খাবার আর পানিও সরবরাহ করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে৷ মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএইডের প্রধান কর্মকর্তা মনে করছেন, এর ফলে পাকিস্তানিদের মনে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা গড়ে উঠবে৷ এদিকে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগ রয়েছে এমন বেশ কয়েকটি ইসলামি সংস্থাও সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে৷ পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও এ ধরণের সংস্থাগুলোর ত্রাণ বিতরণের খবর স্বীকার করেছেন৷ তবে এর সংখ্যা খুব সামান্য বলে তিনি দাবি করেছেন৷
জারদারির ইউরোপ সফরের সমালোচনা
দেশ যখন ইতিহাসের সেরা বন্যায় ভাসছে তখন প্রেসিডেন্টের বিলাসী ইউরোপ ভ্রমণ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ এখন তিনি লন্ডনে রয়েছেন৷ সেখানকার পাকিস্তানি নাগরিকরাও প্রতিবাদ জানিয়েছে এই সফরের৷ বার্তা সংস্থা বিবিসি এসব সমালোচনার ব্যাপারে জানতে চেয়েছিল প্রেসিডেন্ট জারদারির কাছে৷ উত্তরে তিনি বলেছেন, বন্যা সামলানোর পুরো দায়িত্ব তিনি সংসদকে দিয়েছেন৷ এটা এখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব এবং তিনি সেটা পালন করে যাচ্ছেন৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম