ইন্দোনেশিয়ায় বনায়নের নতুন উদ্যোগ
৮ মার্চ ২০১৪ইন্দোনেশিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জঙ্গলে ঘন সবুজ গাছপালা আর বিভিন্ন প্রাণীর দেখা মেলে৷ আর এই সবুজের বড় শত্রু বাওয়ালরা৷ প্রতি কিউবিক মিটার কাঠ সংগ্রহ করে তারা আয় করে বিশ ইউরোর মতো৷
অর্থ আয়ে তারা সংরক্ষিত বন থেকেও অবৈধভাবে গাছ কাটে৷ এমনকি জার্মান-ইন্দোনেশীয় বন প্রকল্পের কর্মকর্তারাও তাদের ঠেকাতে পারে না৷ প্রশ্ন হচ্ছে, বাওয়ালরা কি জানে এটা অবৈধ? তাদের পুলিশ ধরতে পারে৷ এক করাতির বলেন, ‘‘অবশ্যই আমরা ভীত''৷ হাসতে হাসতে একথা বলেন করাতি৷ কেননা তিনি জানেন, পুলিশ ঘুস নেয়৷
বন প্রকল্পের কর্মকর্তা সোলিচিন সহকর্মীদের সহায়তায় অবৈধ গাছ কাটা বন্ধ করতে চান৷ ২৪ হাজার হেক্টর বনের দায়িত্ব সরকার তাদের দিয়েছে৷ এই বন রক্ষা করতে চান সোলিচিন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কী পরিমাণ কার্বন আছে এবং দাবানলসহ নানা কারণে কী পরিমাণ কার্বন কমার শঙ্কা রয়েছে তা জানলে হিসেব সহজ হয়৷ আমরা বুঝতে পারি, কতটা কার্বন জমা করা যেতে পারে এবং পরবর্তীতে কতটা কার্বন ক্রেডিট হিসেবে বিক্রি করা যাবে৷''
বড় বড় শিল্পসংস্থাগুলো বর্তমানে তাদের কার্বন ফুটপ্রিন্ট উন্নয়নে কার্বন ক্রেডিট কিনে নেয়৷ আর তা বিক্রি করে প্রকল্পের জন্য অর্থ আয় এবং বন রক্ষা সম্ভব হয়৷ সোলিচিনের সহকর্মীদের কাছে এটা অর্থ আয়ের নতুন উপায়৷ আগে তারা অবৈধভাবে কাঠ কাটতো৷ এখন বন থেকে গাছের চারা সংগ্রহ করে গ্রামে নিয়ে যায়৷
গ্রামের নাম বিনা ডেসা৷ ১৫০ জন মানুষের এই গ্রামে একটি নার্সারি রয়েছে৷ বন থেকে আনা চারা এখানে তিন মাস ধরে বড় করা হয়৷ তারপর বন প্রকল্পে সেগুলো রোপণ করা হয়৷ পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরনের প্রকল্প পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলেও চালু করা সম্ভব৷