ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি, অগ্ন্যুৎপাতে নিহত ১২৫
২৭ অক্টোবর ২০১০সুনামিতে নিখোঁজ ৫০২
সোমবার রাতে সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে সুমাত্রার পশ্চিমে, মেন্তাভাই দ্বীপগুলোতে৷ এরপর তিন মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় মেন্তাভাই-এর ১০টি গ্রাম৷ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ৷ মেন্তাভাই এর এক আইনপ্রণেতা, হেনরি দোরি সাতোকো জানিয়েছেন, আমাদের সর্বশেষ তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, সুনামিতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১০৮, আর নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ৫০২ জন৷
উদ্ধার তৎপরতায় ধীর গতি
দ্বীপগুলো প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় যোগাযোগের উপায় সীমিত৷ তবে হেলিকপ্টারে করে দুর্গত এলাকায় পৌঁছাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ সেদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুডজিহার্তো জানিয়েছেন, বেতু মঙ্গা গ্রামের আশি শতাংশ ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে৷ সেখানকার অধিকাংশ মানুষই নিখোঁজ৷ এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্গত এলাকায় খাদ্য, ওষুধ আর আবাসনের ব্যবস্থা করতে একদল উদ্ধারকারী দল যাচ্ছে৷ তারা স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কাজ করবে৷ তবে, সুনামিতে নিখোঁজ কয়েক অস্ট্রেলীয় নাগরিককে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে৷
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
জাভা দ্বীপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট মেরাপি মঙ্গলবার জ্বলে ওঠে৷ সেখানে কমপক্ষে তিনটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে৷ অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আশেপাশের পরিবেশ বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে৷ তীব্র গরমে পুড়ে আর শ্বাসকষ্টে সেখানে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৭, আহত ৪০৷ স্থানীয় মুন্তিলিয়ান হাসপাতালের চিকিৎসক নিহতদের মধ্যে এক শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন৷ আগ্নেয়গিরির উৎপত্তিস্থলের আশেপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ৷ ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷
প্রাকৃতিক দুর্যোগ নতুন
গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাডানে সাত দশমিক ছয় মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হয় এগারোশো মানুষ৷ এর আগে ২০০৪ সালে এশিয়ার সুনামিতে শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই নিহতের সংখ্যা এক লাখ আটষট্টি হাজার৷ আর অগ্নুৎপাতের যে পরিসংখ্যান তাতে, ১৯৩০ সালে ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতে প্রাণ হারায় তেরোশো মানুষ৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম