ইফতার পার্টিতে জার্মানির প্রেসিডেন্ট গাউক
সোমবারের সন্ধ্যাটা বার্লিনের কয়েকশ’ রোজাদার মুসলমানের জীবনে অনেকদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷ সেদিন তাঁদের সঙ্গে ইফতার করেছেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক৷
গাউক এলেন আশ্বাসের কথা শোনাতে
গত প্রায় দেড় বছরে ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থী এসেছে জার্মানিতে৷ আগত শরণার্থীদের বেশিরভাগই মুসলমান৷ বার্লিনেও অনেক মুসলমানের বাস৷ সেখানকার মোয়াবিট অঞ্চলে সোমবার এক ইফতার পার্টিতে গিয়েছিলেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক৷ শুধু ইফতার করাই নয়, মুসলিম শরণার্থীদের তিনি জানাতে এসেছিলেন, জার্মানি সব শান্তিপ্রিয় মানুষের, সুতরাং মুসলমান শরণার্থীরাও এখানে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন৷
আতঙ্কের বিপরীতে আশার কথা
জার্মানিতে শরণার্থীবিরোধী ডানপন্থি দল এএফডি জনমনে মুসলমানবিদ্বেষ আর আতঙ্ক ছড়াচ্ছে৷ গত রবিবার অরল্যান্ডোয় সমকামীদের নাইটক্লাবে হামলা চালায় এক মুসলিম তরুণ৷ হামলাকারীসহ সেখানে মোট ৫০ জন নিহত হয়৷ তারপরই বার্লিনে ইফতার করতে গিয়ে গাউক বলেন, ‘‘কিছু মানুষের কাছে ইসলামি জঙ্গিবাদে আতঙ্ক আর মুসলিম-আতঙ্ক এক হয়ে যাচ্ছে৷ এটা ঠিক নয়৷ পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস উসকে দেয়ার এই সময়ে এমন সম্মীলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷’’
ঐক্যের ডাক
মোয়াবিটের ইফতার পার্টিতে জার্মান প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘‘আজ এখানে যাঁরা একত্রে ইফতার করছেন, তাঁরা একমনে এ কথাও ভাবতে পারেন – এক সঙ্গে বাস করা সত্যিই সম্ভব৷’’ সোমবার প্রেসিডেন্ট গাউকের সঙ্গে তাঁর জীবনসঙ্গিনী ডানিয়েলা শাটও গিয়েছিলেন বার্লিনের ইফতার পার্টিতে৷ দু’জনকেই (ডান দিক থেকে) দেখা যাচ্ছে ওপরের ছবিতে৷
দূরত্ব ঘুচানোর উপায়
জার্মানদের সঙ্গে শরণার্থীদের দূরত্ব ঘুচানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে গিয়ে গাউক বলেন, ‘‘দূরত্ব ঘুচানোর কাজে সহাবস্থান অনেক সময় দীর্ঘ আলোচনার বিকল্প হিসেবেও কাজ করে৷ বিশেষ করে যদি ধর্মের প্রধান এবং মৌলিক বিষয়গুলো মেনে চলে সবাইকে বলি, ‘‘আমরা অন্যের কাছ থেকে যে ব্যবহার আশা করি, সেই ব্যবহার অন্যদেরও করব’’ – তাহলেই কিন্তু অনেক কিছু অন্যরকম হয়ে যায়৷’’
স্বস্তি
পবিত্র রমজান মাসে ইফতারকে কেন্দ্র করে প্রসিডেন্ট গাউকের এই শুভেচ্ছা বিনিময় জার্মানিতে আগত মুসলিম শরণার্থীদের জন্য নিশ্চয়ই স্বস্তিদায়ক খবর৷