ইভিএম পাহারায় অখিলেশ, কংগ্রেস ব্যস্ত দল সামলাতে
৯ মার্চ ২০২২উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব ইভিএম পাহারার কাজে ব্যস্ত। গোয়া, মণিপুর এবং উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেস নিজের ঘর সামলাতে ব্যস্ত। গত বিধানসভা নির্বাচনে গোয়া এবং মণিপুরে কংগ্রেস সবচেয়ে বড় দল হয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি। বিজেপি তখন কংগ্রেস ও অন্য দলের বিধায়কদের ভাঙিয়ে সরকার গঠন করে। সেই অবস্থা যাতে না হয়, সেজন্য কংগ্রেসের দাপুটে নেতাদের তিন রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। বিজেপি নেতারাও বসে নেই। তারাও বৈঠক করছেন। গোয়ার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি এসে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে গেছেন।
অখিলেশের চিন্তা
উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব তার দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যেন দিন-রাত ইভিএম পাহারা দিয়ে যান। মঙ্গলবার লখনউতে অখিলেশ বলেছেন, ''সতর্ক থাকুন, ভোট চুরি যেন না হয়।'' এমনিতে ইভিএম যেখানে রয়েছে, সেখানে ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরা চালু থাকে। সেই ফুটেজ সব দলের প্রতিনিধিরা দেখতে পান। তা সত্ত্বেও এই সতর্কতা কেন?
অখিলেশ বলছেন, বারাণসীর ভোটপর্বের পর তার দলের কর্মীরা ইভিএম ভর্তি দুইটি ট্রাক ধরে ফেলেছিলেন। দুইটি ট্রাকই পালায়। কোনো গড়বড় না থাকলে তারা পালাবে কেন? ইভিএম নিয়ে ট্রাকের ভিডিও ভাইরাল হয়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের জেলাশাসক কৌশলরাজ শর্মা বলেছেন, ওই ইভিএমগুলি প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মান্ডির একটি গুদাম থেকে ইভিএমগুলি বারাণসীর একটি কলেজে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এনিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
কিন্তু জেলশাসকের কথায় ভরসা না রেখে সমাজবাদী কর্মীরা ইভিএম পাহারা দিচ্ছেন।
এখন অবশ্য প্রতিটি নির্বাচনেই বিরোধী দলগুলি ইভিএম পাহারা দেয়। তাদের বরাবরের অভিযোগ হলো, ইভিএম বদল করার প্রবণতা থাকে শাসক দলের। সেটা রুখতেই তারা পাহারা দেন। উত্তরপ্রদেশে সেটাই হয়েছে।
কংগ্রেসের চিন্তা
কংগ্রেসের চিন্তা অবশ্য অন্য। তাদের চিন্তা দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের নিরাপদে রাখতে হবে। সেজন্য তারা এই কাজে পারদর্শী নেতাদের বিভিন্ন রাজ্য়ে পাঠিয়েছে। কর্ণাটকে শিবকুমার একসময় এই কাজে সাফল্য পেয়েছিলেন। তাই তাকে গোয়ায় পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া সেখানে প্রবীণ নেতা পি চিদাম্বরম ঘাঁটি গেড়ে বসে আছেন।
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এখন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর খুবই পছন্দের নেতা। তাকে পাঠানো হয়েছে উত্তরাখণ্ড। ছত্তিশগড়ের মন্ত্রী টি এস সিংদেওকে মণিপুর পাঠানো হয়েছে। পাঞ্জাবে পাঠানো হয়েছে অজয় মাকেন ও পবন খেরাকে। প্রয়োজনে বিধায়কদের রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে নিয়ে আসা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়া গোয়ায় মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে ভোটপরবর্তী জোটের জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
অন্তত গতবারের তুলনায় কংগ্রেস অনেক বেশি সতর্ক ও প্রস্তুত।
বিজেপি-র প্রস্তুতি
বিজেপি-তে অবশ্য অনেক আগে থেকেই নেতাদের দায়িত্ব দেয়া থাকে। তবে এক্সিট পোলের ফলাফল প্রকাশের পর গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী এসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করে গেছেন। অমিত শাহ পাঁচ রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাও একই কাজ করছেন। দলীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার মোদী-শাহ দুই দিনের জন্য গুজরাট যেতে পারেন। রোড শো করা ছাড়াও মোদীর সেখানে একাধিক কর্মসূচি আছে। গুজরাটে এবার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি, নিউজ১৯)