ইভিএমকে বিশ্বাসের জায়গায় আনতে চায় ইসি
১০ মে ২০২২ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইভিএম নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সোমবার সাংবাদিকদের জানান, রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের আস্থা অর্জন করতে পারলেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০০ আসনে ইভিএমে ভোট করা সম্ভব হবে৷ ইসির ইভিএমকে ‘উন্নত ও আধুনিক' হিসেবে দেখিয়ে তিনি বলেছেন, এর উপর সবার আস্থা যেন আসে, সেজন্যও নানা পদক্ষেপ রয়েছে তাদের৷
বাংলাদেশে যন্ত্রে ভোটগ্রহণের যাত্রাটি শুরু হয় ২০১০ সালে স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে৷ তবে এ টি এম শামসুল হুদা নেতৃত্বাধীন সেই কমিশন কমিশন সংসদ নির্বাচনে তা নিতে পারেনি৷
এরপর কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের ইসি ইভিএম নিয়ে উৎসাহ ছিলনা৷ কিন্তু কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন পরের কমিশন নতুন করে ইভিএম নিয়ে এগোয়৷ আইন সংশোধন করে তারাই প্রথম ছয়টি সংসদীয় আসনে ইভিএম ব্যবহারও করে৷
এ ধারাবাহিকতায় কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশনও এখন ইভিএম ব্যবহার বাড়াতে চাইছে৷ আগামী বছর অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা ১০০ আসনে ব্যবহারের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে৷ কিন্তু তা প্রকাশ হওয়ার পর ইভিএম নিয়ে নতুন করে শুরু হয় আলোচনা৷ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএমের পক্ষ নিলেও বিএনপির কাছ থেকে এসেছে চরম বিরোধিতা৷
এরমধ্যেই সোমবার ইভিএম ইসির সার্বিক পরিকল্পনা, পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক মহলে আলোচনা নিয়ে নির্বাচন ভবনে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন নির্বাচন কমিশনার আলমগীর, যিনি আগের কমিশনে ইসি সচিবের দায়িত্বে ছিলেন৷
আগামী নির্বাচনে ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে আলমগীর বলেন, ‘‘(ইভিএম নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামতের মধ্যে) আস্থা সংকট কাটিয়ে উঠতে পারি, তাহলে আমাদের ক্যাপাসিটিতে যত ইভিএম আছে, সব ব্যবহার হবে৷’’
ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের তথ্য বলছে, ১১ কোটি ৩২ লাখের বেশি ভোটারের জন্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪২ থেকে ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্র করতে হবে৷ তাতে ভোটকক্ষ হবে আড়াই লাখের বেশি৷ আর ইসির হাতে ইভিএম আছে দেড় লাখের মতো৷
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘‘এখন যে ইভিএম রয়েছে, তা নিয়ে কম্পোর্টেবলি ১০০ আসনে নির্বাচন করতে পারব৷ খুব জোর করে করে দিতে গেলে ১১০-১২০-১৩০ আসনে হতে পারে৷ এর চেয়ে বেশি হবে না৷’’
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)