1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইমপিচমেন্ট চলাকালীন ইউক্রেন সফর পম্পিওর

৩০ জানুয়ারি ২০২০

মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পিও মধ্য এশিয়া সফরে গেলেন৷ তিনি বৃহস্পতিবার পৌঁছেছেন ইউক্রেনে৷ তাঁর এই সফরকে কুবই গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/3X2Hh
ছবি: AP

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টপ্রস্তাব নিয়ে সেনেটে যখন আলোচনা চলছে, তখন ইউক্রেন সহ মধ্য এশিয়া সফরে গেলেন দেশের পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পিও ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর ইউক্রেন সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ কারণ, যে সব কারণে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হয়েছে, তার মধ্য়ে অন্যতম হল, ইউক্রেনের প্রাপ্য ৪০ কোটি ডলারের ঋণ আটকে রেখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৷ ঋণ দেওয়ার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিয়ের জিয়েলইয়েনস্কি ওপর শর্ত আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প ৷   বলা হয়েছিল, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের ছেলে হান্টার বিডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালু করতে হবে ৷  তাঁর প্রকাশিতব্য বইয়ে অ্যামেরিকার  প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন লিখেছেন, ''ট্রাম্পের শর্তই ছিল, ঋণ পেতে হলে বিডেনের বিষয়ে খবর দিতে হবে ৷''  হার্ভার্ডের রাশিয়ান অ্যান্ড ইউরেশিয়ান সার্ভিস সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত ডিযার আউতালের  মতে, ''পম্পিওর ইউক্রেন সফর হল ড্যামেজ কন্ট্রোল এক্সসারসাইজ বা ক্ষতি সামলানোর প্রয়াস ৷'' 

পম্পিওর আগেই এই সফর করার কথা ছিল ৷  কিন্তু ট্রাম্প সে সময় সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ায় সফর পিছিয়ে দেন পম্পিও ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সফরে ইউক্রেনের জন্য কিছু ভালো খবর শোনাতে পারেন তিনি৷ অ্য়ামেরিকাতেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামলানোর ক্ষেত্রে যা সাহায্য করবে ৷ এখনও পর্যন্ত ১৭ জন আধিকারিক তাঁদের সাক্ষ্যতে বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে চাপ দিয়ে  তদন্ত শুরু করিয়েছিলেন ট্রাম্প ৷  কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সব দাবি উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ ৷  আউতাল মনে করেন, ''ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যদি বলেন, ট্রাম্প তাঁকে চাপ দেননি, তা হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অনেকটাই ভারমুক্ত হবেন ৷  রিপাবলিকানরা বলছেন, ট্রাম্পতদন্ত শুরুর চাপ দেওয়ার জন্য ঋণের টাকা বন্ধ করেননি ৷ ''

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পম্পিও কিয়েভে গিয়ে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও সংহতির ক্ষেত্রে পূর্ণ মার্কিন সমর্থনের কথা জানাবেন ৷ রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে লড়ে প্রাণ হারানো দেশপ্রেমীদের সম্মান জানাতে পম্পিও সেন্ট মাইকেল চার্চেও যাবেন ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনি ইউক্রেনকে মার্কিন সাহায্য দেওয়া নিয়েও কথা বলবেন ৷ ইউক্রেনের জন্য এই সাহায্য খুবই জরুরি ৷  কিয়েভের বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্সি খুশচ জানিয়েছেন, ''ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উচিত তাঁর অগ্রাধিকারের কথাটা জানানো ৷ অ্যামেরিকার সঙ্গে বানিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে কৌশলগত সম্পর্ক চায় ইউক্রেন ৷ ওয়াশিংটন সত্যিই ইউক্রেনের জন্য ভাবে, সেটা প্রমাণ করতে চাইবেন পম্পিও ৷ '' 

খুশচের এই কথা বলার কারণ, ন্যাশনাল পাবলিক ব্রডকাস্টার মেরি লুইসি কেলির সঙ্গে পম্পিওর সাম্প্রতিক ঝামেলা ৷  কেলির প্রশ্ন ছিল, ইউক্রেনের জন্য কতটা ভাবে অ্যামেরিকা? তার জবাবে পম্পিও কিছু বাছাই করা গালাগালি পর্যন্ত দিয়েছেন বলে কেলির অভিযোগ ৷ তাই একদিকে ইউক্রেনের জন্য যে তিনি ভাবেন, তা বোঝাতে হবে পম্পিওকে ৷ আর ট্রাম্পের বিপত্তারণ হয়ে উঠতে হবে ৷ কিয়েভ থেকে তিনি বেলারুশ ও দুটি মধ্য এশিয়ার অঞ্চল সফর করবেন ৷  এরপর পম্পিও যাবেন কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তান ৷ প্রতিটি জায়গাই অ্যামেরিকার বিদেশনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ এই অঞ্চলে রাশিয়া ও চীনের প্রভাব কমিয়ে অ্য়ামেরিকার প্রভাব বাড়ানোটাও তাঁর লক্ষ্য থাকবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷   

জিএইচ/এসজি(আল জাজিরা, ডিপ্লোম্যাট)