1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাক থেকে মার্কিন সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা এপ্রিলে

২৪ মার্চ ২০২১

সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আবার ইরাকের সঙ্গে আলোচনায় বসবে অ্যামেরিকা। এপ্রিলে আলোচনা শুরু হবে।

https://p.dw.com/p/3r1ke
ইরাকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হবে এপ্রিলে। ছবি: picture-alliance/AP Photo/K. Mohammed

ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে। ২০২০ সালের জুন থেকে আলোচনা শুরু হয়। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে এই প্রথমবার আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ইরাকে এখন আড়াই হাজার মার্কিন সেনা আছে। 

মার্কিন ও জোট বাহিনীর সেনার ইরাকে থাকার ঘোষিত উদ্দেশ্য হলো, ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষিত করা, যাতে তারা ইসলামিক স্টেট বা আইএসের মোকাবিলা করতে পারে। আইএস যাতে আবার ইরাকে তাদের শক্তি প্রতিষ্ঠা না করতে পারে।

এবার সেই আড়াই হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে আলোচনায় বসবেন দুই দেশের কর্তারা। তবে শুধু সেনা প্রত্যাহার নিয়েই আলোচনা হবে না, বাণিজ্য, পরিবেশ, সাংস্কৃতিক বিষয়েও কথা হবে। দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের বিষয়েও কথা হবে।

ইরানের জেনারেল সুলেইমানি এবং ইরাকের মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহান্দিকে হত্যার পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাগদাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। এরপর ইরাকের পার্লামেন্টে অ্যামেরিকার নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর চলে যাওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্য সরকার মানতে বাধ্য নয়।

সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্ক আগের তুলনায় কিছুটা ভাল হয়েছে। তবে ইরানপন্থি কিছু দল পার্লামেন্টে সমানে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি তুলছে।

অ্যামেরিকা ও ইরাক দুই দেশই এখন সেনা সরিয়ে নেয়ার পক্ষে। তবে প্রশ্ন হলো, কবে তা সরানো হবে? এই সেনা সরানো হলে আইএস সুবিধা পাবে না তো? সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেনা সরানোর পক্ষে ছিলেন। তার মত ছিল, এই অন্তহীন লড়াই চালিয়ে কোনো লাভ নেই।

জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স)