ইরাকে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় নিহত ৩০
২২ জুলাই ২০১০বুধবার বিকেল ৬ টার দিকে ঘটল গাড়িবোমা হামলা৷ রাজধানী বাগদাদ থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে শিয়া অধ্যুষিত এলাকায়৷ দিয়ালা প্রদেশের আবু সাইদা শহরে মসজিদের বাইরে রাখা গাড়িতে ছিল বোমা৷ গাড়িবোমার বিস্ফোরণে ধসে গেছে পাঁচটি বাড়ি৷ বোমার আঘাতে ধ্বংস হয়েছে আরো পাঁচটি গাড়ি৷ এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন৷ সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে এই খবর৷
হতাহতদের অধিকাংশই স্থানীয় নারী, পুরুষ ও শিশু৷ গাড়িবোমা বিস্ফোরণের পর দু'টি তাজা বোমা নষ্ট করতে সক্ষম হয় পুলিশ৷ ঘটনাস্থলে আরো বোমা থাকতে পারে আশঙ্কায় আবু সাইদা শহরে সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে৷ একই প্রদেশে আগের দুই দিনও বোমা হামলা চালানো হয়৷ এতে সাতজন নিহত এবং আহত হয়েছে আরো ২৯ জন৷ এছাড়া বুধবার রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান এক মার্কিন সৈন্য৷ এনিয়ে ২০০৩ সাল থেকে ইরাকে প্রাণ হারালেন মোট ৪,৪১৩ জন মার্কিন সেনা সদস্য৷
এদিকে, ২০০৩ সালে শুরু হওয়া ইরাক যুদ্ধকে অবৈধ বলে মন্তব্য করলেন ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ৷ বুধবার হাউস অব কমন্সে প্রশ্নোত্তর পর্বে এমন মন্তব্য করেন ক্লেগ৷ ইরাক যুদ্ধ শুরুর সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টির সদস্য জ্যাক স্ট্র৷ নিক ক্লেগ স্ট্র'কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘‘ইরাকে অবৈধ হামলার সবচেয়ে বিপর্যয়কারী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকার জন্য জবাবদিহি করতে হবে৷''
লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা ক্লেগের এমন মন্তব্যে জোটের শরিক কনজার্ভেটিভ পার্টি'তে শুরু হয় গুঞ্জন৷ কারণ কনজার্ভেটিভ পার্টির অধিকাংশের মতোই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও সমর্থন করেন ইরাক যুদ্ধের সিদ্ধান্ত৷ তবে ক্লেগের মন্তব্য জোট সরকারের নীতির বহিঃপ্রকাশ নয়, এমন ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি হাল্কা করার চেষ্টা করল ডাউনিং স্ট্রিট৷ সরকারি মুখপাত্রের বিবৃতি, ‘‘ইরাক সংঘাতের বৈধতা কিংবা এ বিষয়ে কোন নীতি প্রকাশ করেনি জোট সরকার৷ তবে এর অর্থ এই নয় যে, জোট সরকারের সদস্যরা কেউ নিজস্ব অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারবেন না৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম