1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে বাংলাদেশের শ্রমিক

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪

দীর্ঘ আড়াই মাস পর আবারো বাংলাদেশ থেকে ইরাকে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে৷ অন্যদিকে লেবাবন থেকে সেখানে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো৷

https://p.dw.com/p/1D6PP
IS Kämpfer
ছবি: picture alliance/dpa

ইরাকে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-এর (আইএস) সদস্য ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ের কারণে প্রায় আড়াই মাস বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ ছিল৷ তবে গত মঙ্গলবার থেকে সেখানে আবার কর্মী পাঠানো শুরু করেছে বাংলাদেশ৷ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ৩০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক ইরাকের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন৷ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গেছেন আরও ৩০ জন৷

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৯২ জনকে ইরাকে যাওয়ার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে৷ প্রবাসী কল্যাণ সচিব খন্দকার শওকত হোসেন বলেন, ‘‘মঙ্গলবার থেকে আমরা বহির্গমন ছাড়পত্র দেয়া শুরু করেছি৷ আমরা ইরাক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি৷ ধীরে ধীরে ছাড়পত্র দেওয়ার সংখ্যা আমরা বাড়াবো৷''

IS Kämpfer
জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-এর সদস্যরা...ছবি: picture alliance/dpa

ইরাকের তিকরিত, মসুলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আইএস জঙ্গি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ের কারণে গত ১৪ই জুন থেকে কর্মী পাঠানো বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ৷ এমনকি দুই পক্ষের লড়াইয়ের কারণে ইতিমধ্যে কয়েকশ' বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফিরতে বাধ্য হন৷

একসময় বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার ছিল ইরাক৷ ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং ২০০৩ সালে মার্কিন অভিযানের কারণে ইরাকে কর্মী পাঠানো দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল৷ ২০০৯ সালে ৪১২ জন কর্মী যাওয়ার মধ্যে দিয়ে ইরাকে আবার বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো শুরু হয়৷

২০১৩ সাল থেকে কর্মী পাঠানোর সংখ্যা বাড়তে থাকে৷ ঐ বছর সাত হাজার ৪৫৬ জন এবং চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ছয় হাজার ৩৪ জন কর্মী ইরাকে যান৷ তবে যুদ্ধাবস্থার কারণে জুনের মাঝামাঝি লোক পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়৷

ইরাকে এখন ১৫ হাজার বাংলাদেশি বৈধভাবে অবস্থান করছেন৷ তবে সেখানে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে এখন মোট ৫০ হাজার বাংলাদেশি আছেন৷

বাগদাদে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ইরাকের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে৷ ফলে আবার বাংলাদেশি কর্মীরা যেতে শুরু করেছেন৷ তবে যাঁরা যাচ্ছেন সতর্কভাবে চলাফেরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷

অন্যদিকে লেবাননে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের সন্তানদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ সব সন্তানের মাকেও ফেরত পাঠানো হবে৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে৷ বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইনস, ঘানা, দক্ষিণ সুদান ও মাদাগাস্কার-এর শ্রমিকদের ব্যাপারেও একই ব্যবস্থা নিচ্ছে লেবানন৷

এইচআরডাব্লিউ-র প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক দিন ধরে লেবাননে বসবাস করছেন, এমন প্রায় এক ডজন অভিবাসী নারী শ্রমিক এ বছরের মে মাস থেকে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে অভিযোগ জানানো শুরু করেন৷ তাঁদের অভিযোগ হলো, তাঁরা নিজেদের এবং তাঁদের সন্তানদের লেবাননে বসবাসের কাগজ-পত্র নবায়ন করতে গেলে তাঁদের ফিরিয়ে দেয়া হয়৷ কাউকে কাউকে বলা হয়, ‘‘তোমাদের সন্তানদের এখানে থাকার অনুমতি নেই৷'' এ কথা বলে তাঁদের অল্প দিনের মধ্যে দেশত্যাগের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়৷ তাঁরা বলেন, কাউকে আবার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেশ ছাড়তে বলা হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান