ইরাকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
১৪ মার্চ ২০২২ইরান স্বীকার করেছে, ইরাকের উত্তরে কুর্দিদের এলাকার রাজধানী এরবিলে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। রোববার ভোররাতে এই হামলা হয়।
এরপরই ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে এই হামলার প্রতিবাদ করেছে। তারা বলেছে, এটা ইরাকের সার্বভৌমত্বের উপর হামলা।
এই হামলায় বড় ধরণের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে কে২৪ টিভি চ্যানেলের স্টুডিও এবং কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইরানের ক্ষমতাশালী রেভলিউশনারি গার্ড তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, তারা এরবিলে ইসারায়েলি চক্রান্তের একটি কৌশলগত কেন্দ্রে হামলা করেছে। তাদের হুমকি, এরকম আরো আক্রমণ ভবিষ্যতে হতে পারে।
ইসরায়েলের চক্রান্ত নিয়ে তারা বিশদে কিছু বলেনি, শুধু জানিয়েছে, সম্প্রতি ইসরায়েলের হামলায় দুই জন রেভলিউশনারি গার্ড মারা গেছেন। ইসরায়েল এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাধিমি ফোনে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে বলেছেন, তার দেশ বাইরের কোনো শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার মঞ্চ হতে পারে না।
মার্কিন সুরক্ষা পরামর্শদাতা সুলিভান জানিয়েছেন, অ্যামেরিকা এই হামলার কড়া নিন্দা করছে। তিনি জানিয়েছেন, ''আমরা ইরাক সরকারকে সমর্থন করি। ইরান এই হামলার জন্য দায়ী। আমরা আমাদের সহযোগী দেশকে সমর্থন করব। মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই ইরান এরকম বিপদের কারণ হয়ে উঠছে।''
তিনি বলেছেন, ইরান কোনো কারণ ছাড়াই এরবিলে একটি অসামরিক ভবন আক্রমণ করেছে।
অ্যামেরিকার সাহায্য
কুর্দি সরকার জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলের কোনো কেন্দ্র নেই। তাদের দাবি, ইরান অ্যামেরিকার দূতাবাস লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। দূতাবাস চত্বরের কাছাকাছি এলাকায় গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে।
তবে অ্যামেরিকা জানিয়েছে, তাদের দূতাবাস লক্ষ্য করে হামলা হয়েছিল, এমন কোনো প্রমাণ নেই।
সুলিভান জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন ইরাকের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেছেন, ''আমরা ইরাক সরকারের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের আমরা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিতে চাই, যাতে ইরাকের শহরগুলি সুরক্ষিত হয়।''
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আক্রমণের নিন্দা করেছে। তারা বলেছে, এর ফলে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাধা পড়তে পারে।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)