ইরাকে জার্মান নারীকে ফাঁসির আদেশ
২২ জানুয়ারি ২০১৮মরোক্কান বংশোদ্ভুত ঐ জার্মান নারী বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জঙ্গি গ্রুপটিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ‘সহযোগিতা করেছেন’, এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘হামলায় অংশ নিয়েছেন’৷ এমনটিই জানিয়েছেন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মুখপাত্র আবদুল-সাত্তার বের্কদার৷
তিনি আরো জানান যে, ঐ নারী জার্মানি থেকে দুই কন্যাসহ প্রথমে সিরিয়া ও পরে ইরাকে যান এবং আইএস-এ যোগ দেন৷ তাঁর দুই কন্যা পরে দুই জঙ্গি সদস্যকে বিয়ে করেন৷
গত বছর ইরাকী সেনাদের মোসুল অভিযানের সময় এই নারীকে আটক করা হয়৷ এই প্রথম কোনো বিদেশি নারীকে আইএস-এ যোগ দেয়ার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দিল ইরাক৷ তবে ঐ নারী রায়ের বিরুদ্ধে আপীলের সুযোগ পাবেন৷
২০১৪ সালে ইরাক ও প্রতিবেশী সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল আইএস দখল করার পর শত শত বিদেশি যোদ্ধা দলটিতে যোগ দেয়৷ ইরাককে আইএসমুক্ত করার অভিযানের সময় এদের অনেকেই সেনাদের হাতে আটক হন৷
গত সেপ্টেম্বরে এক জার্মান টিনএজ তরুণী আইএসে যোগ দিয়েছে সন্দেহে মোসুলে আটকের খবর নিশ্চিত করে জার্মানির বিচার মন্ত্রণালয়৷
জার্মান নিউজ ম্যাগাজিন ‘ড্যার স্পিগেল’ রিপোর্ট করেছে যে, ঐ তরুণীকে বাগদাদে আরো তিন জার্মান নারীর সঙ্গে বন্দি করা হয়েছে, যাদের একজন মরোক্কান বংশোদ্ভুত৷
লিন্ডা নামের ঐ তরুণী এক চেচেন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন বলে জানা গেছে৷ ধারণা করা হয়, অনেক আইএস যোদ্ধার সহধর্মিনীরা ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের সময় পলায়নরত সাধারণ জনগণের সঙ্গে মিশে যান৷
ডিসেম্বরে বাগদাদকে আইএসমুক্ত বলে ঘোষণা করা হলেও রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় এখনো হামলা চালাচ্ছে জঙ্গি দলটি৷
জেডএ/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)