1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে বিদেশি সেনা নয়: পার্লামেন্টের প্রস্তাব

৫ জানুয়ারি ২০২০

ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেলসহ ৬ জন নিহতের পর দেশটি থেকে বিদেশি সৈন্য সরাতে প্রস্তাব পাস করলো ইরাকের পার্লামেন্ট৷

https://p.dw.com/p/3Vjvb
ছবি: picture-alliance/AA/Stringer

বিদেশি কোনো সেনাবাহিনী যাতে ইরাকের মাটি, বায়ু বা জল ব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন এমপিরা৷

ইরাকের পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে পাস হওয়ায় প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘বিজয় অর্জিত হওয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই করা আন্তর্জাতিক জোটের সহায়তা আর প্রয়োজন নেই৷''

পার্লামেন্টে পাস হওয়া রেজল্যুশন আইনের মতো মানতে বাধ্য নয় সরকার৷ কিন্তু এই প্রস্তাবে সকলের সায় থাকায় তা কার্যকর হবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা৷ দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আদেল অবদুল মাহদি অধিবেশন শুরুর আগে নিজেই পার্লামেন্টকে আহ্বান জানিয়েছেন ইরাকে বিদেশি সেনার উপস্থিতি বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখার৷

মাহদি বলেন, ‘‘আমরা এর ফলে অভ্যন্তরীণ ও বাইরের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি, কিন্তু এটিই হবে ইরাকের জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত৷''

এদিকে, নানা বিষয়ে বিরোধী অবস্থানে থাকলেও বাগদাদের হামলার পর ইরাক থেকে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের বিষয়ে একই ধরনের দাবি উঠেছে শিয়া সম্প্রদায়ের নানা অংশ থেকে৷ পার্লামেন্ট অধিবেশনের আগে আইন কমিটি এবং পার্লামেন্ট সদস্য শিয়া নেতা আম্মার আল-শিবলি বলেন, ‘‘ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার পর এখন আর মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতির কোনো প্রয়োজন দেখছি না৷ আমাদের নিজেদের সামরিক বাহিনী রয়েছে, দেশের নিরাপত্তা দিতে তারাই যথেষ্ট৷''

তবে আরেক জনপ্রিয় শিয়া নেতা মুকতাদা আল সদর পার্লামেন্টে পাস হওয়া বিবৃতিকে খুব ‘দুর্বল' বলে উল্লেখ করেছেন৷ এ বিষয়ে সব মিলিশিয়া গ্রুপকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷

পার্লামেন্টে পাঠানো লিখিত এক বক্তব্যে সদর বলেন, ‘‘মার্কিন সেনাবাহিনীর ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের প্রতিবাদে এই প্রতিক্রিয়া খুব দুর্বল৷'' মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে করা নিরাপত্তা চুক্তি অবিলম্বে বাতিল, মার্কিন দূতাবাস বন্ধ, সব মার্কিন সেনা বহিষ্কার এবং মার্কিন সরকারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তিনি৷

পাশাপাশি, ইরাক এবং ইরাকের বাইরের ‘প্রতিরোধ' যোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘আন্তর্জাতিক সেনবাহিনী' গঠন করার আহ্বানও জানিয়েছেন মুকতাদা আল সদর৷

কয়েক দশকের শত্রুতা সত্ত্বেও ২০১৪ সাল থেকে আইএসবিরোধী যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া৷ এখনও ইরাকে প্রায় পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে৷

এডিকে/আরআর (রয়টার্স, এপি, এফপি)