ইরাকে মার্কিন বিমান হামলা
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা একটি পরিকল্পনার ঘোষণা দেন, যেখানে বলা হয় সিরিয়ার ভেতর দিয়ে ইরাকে আইএস (আইসিস অথবা আইসিল) জঙ্গিদের উপর বিমান হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী৷ এছাড়া অতিরিক্ত মার্কিন সেনা ইরাকে মোতায়েনের বিষয়টির ব্যাপারেও কংগ্রেসে শুনানি হবে ১৬ই সেপ্টেম্বর, সোমবার৷
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনস্ট ওবামা বলেছেন, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে৷ তবুও এদিন কংগ্রেসে ওবামা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র দেয়ার ব্যাপারটিতে সমর্থন চাইবেন তিনি৷
তবে ওবামার এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয় খোদ ডেমোক্র্যাটরা৷ ডেমোক্র্যাট সেনেটর জো মানচিন সোমবার বলেন, ‘‘বিমান হামলার ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত৷ তবে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যাপারটিতে আমার সমর্থন নেই৷''
তিনি প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত একটি ব্যয় তুলে ধরে বলেন, ‘‘২০০৩ সালের মার্চ থেকে ইরাকে শুরু হওয়া আগ্রাসনে ইরাকি যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণে এখনও পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ অথচ এত অর্থ ব্যয়ের তেমন কোনো ফলাফল আমরা পাইনি৷''
রিপাবলিকান সেনেটর জন ম্যাককেইন বলেছেন, ‘‘আসলেই আইএস জঙ্গিদের নিয়ে আমরা কতটা উদ্বিগ্ন? আমাদের গতকালই উচিত ছিল সিরিয়ায় আইএস জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো৷ তাদের ঘাঁটিগুলোর একটি ম্যাপ বানিয়ে এখনই হামলা শুরু করা যায়৷ তবে এত দেরি করার কি আছে?''
ওবামার বক্তব্য
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট মার্কিন বারাক ওবামা জনগণকে ইরাক নিয়ে তাঁর বিস্তারিত পরিকল্পনা জানাবেন৷ সেখানে জানাবেন সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের উপর হামলা চালাতে তিনি প্রস্তুত কিনা৷ এছাড়া তাঁর বক্তব্যে ইরাকে সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেয়ার ব্যাপারটিও পরিষ্কার হবে৷
ওবামা-আব্দুল্লাহ আলোচনা
জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার আগে আইএস নির্মূলে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ-র সাথে কথা বলেছেন ওবামা৷ হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওবামা এবং আব্দুল্লাহ সিরিয়া বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দেয়ার বিষয়টিতে একমত হয়েছেন৷
ফ্রান্স এরই মধ্যে জানিয়েছে যে, আইএস নির্মূলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হামলায় যোগ দিতে প্রস্তুত তারা৷ এদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে যে, ওবামা এরই মধ্যে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন৷ তবে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এখনও এ তথ্যের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি৷
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)