ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত সাড়ে তিনশ নিহত
অক্টোবরের প্রথম দিন থেকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়৷ এখন পর্যন্ত অন্তত সাড়ে তিনশ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷
বিক্ষোভের কারণ
২০০৩ সালে সুন্নি নেতা সাদ্দাম হুসেনের পতনের পর থেকে ইরাক শাসন করছেন শিয়া নেতৃবৃন্দ৷ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং সরকারের উপর ইরানের প্রভাবের অভিযোগ এনে অক্টোবরের ১ তারিখ বাগদাদে বিক্ষোভ শুরু হয়৷
ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংস্কার ও দুর্নীতি দূর করার অঙ্গীকার করেছিলেন৷ কিন্তু সেটি বাস্তবায়নে তাঁর তেমন আগ্রহ দেখতে না পেয়ে বিক্ষোভ বাগদাদ ছাড়িয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে৷
হতাহত
প্রায় দুই মাসের এই বিক্ষোভে অন্তত সাড়ে তিনশ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে পুলিশ ও চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে৷ বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণাঞ্চলীয় নাসিরিয়া শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২২ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে৷
ইরানি কনস্যুলেটে আগুন
ইরাকের বর্তমান সরকারের উপর ইরানের প্রভাবের অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় নাজাফের ইরানি কনস্যুলেটে আগুন ধরিয়ে দেন (ছবি) বিক্ষোভকারীরা৷ তবে কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ায় কেউ আক্রান্ত হননি৷ বিক্ষোভকারীদের থামাতে পুলিশ গুলি চালালে একজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হন৷ এই ঘটনার পর নাজাফে কারফিউ জারি করা হয়েছে৷
ইরানের নিন্দা
কনস্যুলেটে আগুন লাগানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ইরান৷ ইরাক সরকারের কাছ থেকে ‘দায়িত্বশীল, শক্ত ও কার্যকর’ প্রতিক্রিয়াও আশা করছে দেশটি৷
ক্রাইসিস সেল গঠন
বিক্ষোভ থামাতে সামরিক বাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের সমন্বয়ে একটি ক্রাইসিস সেল গঠন করা হয়েছে৷