ইরান-ইরাক আঁতাত থেকে শিয়া-সুন্নি সংঘাতে?
৪ মার্চ ২০১৫তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট'-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে এবার সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে ইরান৷ আইএস-এর হাত থেকে ইরাকের টিকরিট শহর উদ্ধার অভিযানে ইরাকি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছে ইরানের শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী৷ জেনারেল কাসেম সুলেইমানির নেতৃত্বে কুদ্স বাহিনীর যোদ্ধারা বিশাল সংখ্যায় যুদ্ধে যোগ দিয়েছে৷ এমনকি মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা – জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জেনারেল মার্টিন ডেম্পসে এক্ষেত্রে ইরানের ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তবে তাঁর মতে, এই যুদ্ধ শিয়া-সুন্নি সংঘাতে পরিণত হলে মূল লক্ষ্যের ক্ষতি হবে৷
ব্রুকিংস দোহা সেন্টারের চার্লস লিস্টার টুইটারে তাঁর বার্তায় ইরানের সামরিক সরঞ্জামের কিছু ছবি ও সংশ্লিষ্ট তথ্য তুলে ধরেছেন৷
টিকরিট উদ্ধারে ইরাকি বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে অনেক মন্তব্য ও বার্তা চোখে পড়ছে টুইটারে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জেরি সিম্পসন এ প্রসঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে লিখেছেন, টিকরিট শহরের বেসামরিক মানুষকে বিনা বাধায় পালানোর সুযোগ করে দিতে হবে৷
মুস্তাফা আল খাকানি আইসিস-এর বিরুদ্ধে ইরাকি সেনাবাহিনীর অভিযানকে শুধু ইরাক নয়, গোটা বিশ্বের হয়ে সংগ্রাম হিসেবে গণ্য করেছেন এবং সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন৷
মিনি নামের আড়ালে এক টুইটার ব্যবহারকারীও টিকরিট উদ্ধারে ইরাকি সেনাবাহিনীর অভিযানে সাফল্যের জন্য সবাইকে প্রার্থনা করার ডাক দিয়েছেন৷
ইরাক জুড়ে অশান্তি ও হিংসার পরিবেশে নিষ্পাপ শিশুদেরও কীভাবে শামিল করা হচ্ছে, কিছু ছবির মাধ্যমে তার একটা দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন ফ্রানসেস্কা বরি৷ তাঁর বার্তায় বরি লিখেছেন, ‘‘শান্তি তখনই শুরু হতে পারে, যখন বাবা-মা তাদের শিশুদের সৈন্যের পোশাক পরানো বন্ধ করবে৷''
প্রখ্যাত মার্কিন চিন্তাবিদ নোয়াম চমস্কি মনে করেন, ইরাকে মার্কিন নীতি আইসিস-এর জন্ম দিয়েছে এবং অ্যামেরিকার বর্তমান নীতিও আইসিস-বিরোধী সংগ্রামের ক্ষতি করছে৷ তাঁর লেখা বিশ্লেষণটি টুইটারে শেয়ার করেছেন অনেক ব্যবহারকারী – যেমন ডেভিড এ জনসন৷
মধ্যপ্রাচ্য সহ গোটা অঞ্চলে শিয়া-সুন্নি বিভাজনের ইতিহাস ও গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন কেন্ট লুন্ডগ্রেন৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ