ইরান-ইসরায়েল: সব পক্ষকে সংযত থাকতে বললো জার্মানি
১২ এপ্রিল ২০২৪ইরান ও ইসরায়েলের সম্পর্কে এখন প্রবল উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইরানের অভিয়োগ, সিরিয়ায় তাদের দূতাবাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই জেনারেল-সহ রেভলিউশনারি গার্ডের সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই জানিয়ে দিয়েছেন, ইসরায়েলকে যোগ্য জবাব দেয়া হবে।
এই পরিস্থিতিতে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক ফোনে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে। মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজক পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ''ওই অঞ্চলে সকলের স্বার্থে সংঘাত আর বাড়ানো উচিত নয়। আমরা ওই অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন সর্বোচ্চ সংযম দেখান এবং দায়িত্বশীল আচরণ করেন।''
পরে চিলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বেয়ারবক বলেন, ''আর কাউকে আগুনে ঘি ঢালতে দেয়া উচিত হবে না। পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর হওয়াটা কাঙ্খিত নয়।''
বেয়ারবক বলেছেন, তিনি আমিরআবদুল্লাহিয়ানকে জানিয়ে দিয়েছেন, ওই অঞ্চলে সব পক্ষকেই চূড়ান্ত সংযমের পরিচয় দিতে হবে।
জার্মানির বিমানসংস্থা লুফৎহানসা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজক অবস্থার কথা মাথায় রেখে শনিবার পর্যন্ত তারা তেহরানে বিমান চালাবে না।
নেতানিয়াহু বললেন, ইসরায়েল প্রত্যাঘাতে তৈরি
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, তারা দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেছেন, ''কেউ যদি আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তাহলে আমরাও দেশের স্বার্থে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি।''
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, ''ইসরায়েল বিভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবিলায় সম্পূর্ণভাবে তৈরি আছে। বেসামরিক মানুষকেও আলাদা করে কোনো প্রস্তুতি নিতে হবে না।''
গাজায় ত্রাণ
ইসরায়েলের সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগিরি জানিয়েছেন, ইসরায়েল থেকে উত্তর গাজায় ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর জন্য সীমান্ত খুলে দিতে তারা রাজি। উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)