1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরান কি আলাপ-আলোচনার জন্য প্রস্তুত?

১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯

রবিবার প্রেসিডেন্ট আহমদিনেজাদ বলেছেন ইরান বিশ্বশক্তিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমস্যাবলী নিয়ে কথা বলতে প্রস্তুত, কিন্তু তেহরানের পারমাণবিক প্রযু্ক্তি রাখার অধিকার নিয়ে নয়৷

https://p.dw.com/p/JeID
ইস্পাহানে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্রছবি: AP

আহমদিনেজাদ সম্ভাব্য আলাপ-আলোচনার বিষয় হিসেবে গালভরা কথাই বলেছেন, যথা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা সমস্যাবলীর সমাধান, এমন সব প্রসঙ্গ, যা সকলের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়৷ কিন্তু তিনি ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে আলাপ-আলোচনার কথা শুনতে রাজী নন৷ এখানে তিনি তাঁর পুরনো সুরই বজায় রেখেছেন: শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক প্রযুক্তি হল ইরানের বৈধ এবং অবিসম্বাদী অধিকার৷ আহমদিনেজাদ এ-সব মন্তব্য করেন নতুন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সাইমন গ্রাসের পরিচয়পত্র পেশ করার সময়৷

নতুন ‘প্যাকেজ’

গত বুধবার ইরান ছ’টি বিশ্বশক্তিকে - অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন এবং জার্মানিকে তার সর্বাধুনিক প্রস্তাবাবলী পেশ করে৷ অবশ্য মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ ক্রাউলে ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছেন, যে তেহরানের প্যাকেজে যুক্তরাষ্ট্রের মুখ্য উদ্বেগটির বিষয়েই কিছু বলা হয়নি - যা হল ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ কর্মসূচী৷ - ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান হাভিয়ের সোলানা বলেছেন, তিনি ইরানের মুখ্য পরমাণু মধ্যস্থ সঈদ জলিলি’র সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন৷ কিন্তু আসল কথাটা বোধহয় বলেছেন ওয়াশিংটনে জাতীয় ইরানি-মার্কিনি পরিষদের সভাপতি ত্রিতা পার্সি৷ তিনি ইরানের নতুন প্রস্তাবসমূহকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, যে পশ্চিমের ঐ পারমাণবিক বিষয়টির উপর মনঃসংযোগ না করে, ইরানের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের কথা স্মরণ করা উচিত৷ ইরান চায় আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃত হতে এবং আঞ্চলিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় স্থায়ী আসন নিতে৷

আঙ্কারায় নয়?

অপরদিকে তুরষ্ক ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের বৈঠকে আমন্ত্রণকর্তা হতে চায় বলে ইরানি সংবাদ সংস্থাগুলিতে যে খবর বেরিয়েছিল, তার সত্যতা নিয়ে এখন সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ অন্তত ইরান সফররত তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক মুখপাত্র তুরষ্কের তরফ থেকে সে-ধরণের কোনো প্রস্তাবের কথা অস্বীকার করেছেন৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই