ইরান চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আবার আলোচনা
২৯ নভেম্বর ২০২১জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইরান চুক্তি বাঁচানোর চেষ্টা শুরু হয়৷ সেই লক্ষ্যে এপ্রিল ও জুনের মধ্যে ইরানের সঙ্গে ছয় দফা আলোচনায় বসে চুক্তির অন্য পক্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়া৷
এরপর ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য আলোচনা স্থগিত ছিল৷ সোমবার আবার সেটা শুরু হচ্ছে৷ এর মধ্যে এব্রাহিম রাইসি ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন৷
আলোচনার জন্য ৪০ সদস্যের নতুন দল ঘোষণা করেছে ইরান৷ ইতিমধ্যে তারা কিছু দাবি জানিয়েছেন, যা পূরণ করা অবাস্তব বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কূটনীতিকরা৷ যেমন ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইরানের উপর দেয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব নিষেধাজ্ঞা (এমনকি যেগুলো পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় সেগুলোও) তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছে ইরান৷ এছাড়া আলোচনা শুরুর আগে প্রাথমিক শুভেচ্ছা নিদর্শন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাজেয়াপ্ত থাকা ইরানের ১০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ ছাড়ের দাবি জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসি৷
তাই সোমবার শুরু হওয়া আলোচনার ফল সম্পর্কে আশান্বিত হতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে ইউরোপীয় আলোচকরা স্বল্প থেকে মাঝারি মেয়াদের চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন৷
যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় আলোচনার সময় সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবে না৷ তবে আলোচনার প্রস্তুতি হিসেবে গত কয়েক সপ্তাহে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছে বাইডেন প্রশাসন৷
ইরানি প্রতিনিধি দল বলেছে, আলোচনায় তাদের মূল লক্ষ্য থাকবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমকে চাপ দেয়া৷ সেজন্য প্রতিনিধি দলে অর্থনীতি বিষয়ক কর্মকর্তাদের বেশি করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷
ইরানের প্রধান আলোচক আলী বাঘেরি কানি রোববার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রবন্ধে ইরান চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার জন্য পশ্চিমকে মূল্য দিতে হবে বলে জানিয়েছেন৷ ‘‘অন্য যে-কোনো ব্যবসার মতোই চুক্তি হচ্ছে চুক্তি এবং কেউ এটার লঙ্ঘন করলে তার ফল ভোগ করতে হবে,'' লিখেছেন তিনি৷
এদিকে, ইরান চুক্তি নিয়ে আলোচনা ইসরায়েল কোনো পক্ষ না হলেও তারা আলোচনার ফল সম্পর্ক নজর রাখবে৷ কারণ ইরানকে তারা এক নম্বর শত্রু মনে করে৷ পরমাণু শক্তির অধিকারী ইরানকে তারা নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে ইসরায়েল৷
জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স, এপি)