ইরানকে যুক্তরাজ্যের হুমকি
৩ আগস্ট ২০২১যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ''ইরানকে এর ফল ভোগ করতে হবে।'' অ্যামেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেছেন, ''এই ড্রোন হামলা হলো জলপথ ব্যবহার ও বাণিজ্য সংক্রান্ত স্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত। এর প্রতিক্রিয়া যৌথভাবেই দেয়া হবে।''
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছিল, তারা ওই ড্রোন হামলার পিছনে নেই। এই হুমকির পরে তারা জানায়, ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলে তেহরানও প্রত্যাঘাত করবে।
এখনো পর্যন্ত যা জানা গেছে
এই তেলের ট্যাঙ্কারটি ম্যানেজ করে ইসরায়েলি কোম্পানি জোডিয়াক মেরিটাইম। গত বৃহস্পতিবার এই তেলের ট্যাঙ্কারে ড্রোন হানা হয়। তার ফলে দুই জন মারা গেছেন। মার্কিন নৌ বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ড্রোন হামলার ফলেই যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। যে দুই জনের মৃত্যু হয়ছে, তার মধ্যে একজন যুক্তরাজ্যের এবং অপরজন রোমানিয়ার।
অ্যামেরিকা, ইসরায়েল ও যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, এই ড্রোন হানার জন্য ইরান দায়ী। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লন্ডনে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছিল। তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারকে ডেকে পাঠায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূতকেও ডেকে পাঠানো হয়। তাদের জানিয়ে দেয়া হয়, ইরানের বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা প্রচার করছে।
আক্রমণ নিয়ে মন্তব্য
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, ইরান যা করেছে, তার ফলভোগ করতে হবে। এই আক্রমণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। জনসন জানিয়েছেন, ড্রোন হানায় একজন ব্রিটিশ নাগরিক মারা গেছেন। ইরান এবং অন্য সব দেশ যেন বিশ্বের সর্বত্র জলপথ ব্যবহারের স্বাধীনতার বিষয়টি মাথায় রাখে।
ওয়াশিংটনে ব্লিংকেন বলেছেন, ইরান যে এই হামলা করেছে, সে ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। তারা বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোন ব্যবহার করেছিল। এই আক্রমণের কোনো কারণ নেই। এটা একেবারেই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। ব্লিংকেন জানিয়েছেন, আমরা যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, রোমানিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। ঘটনার যে প্রতিক্রিয়া হবে, সেটা যৌথই হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, কোনো মিসঅ্যাডভেঞ্চার হলে ইরানও নিজের সুরক্ষা ও জাতীয় স্বার্থে দ্রুত ও কড়া ব্যবস্থা নেবে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)