ইরানে বন্দি অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষাবিদ মুক্ত
২৬ নভেম্বর ২০২০চরবৃত্তির অভিযোগে তাঁকে ধরেছিল ইরান। তাঁর দশ বছরের জেল হয়েছিল। দুই বছর পর তিনি ছাড়া পেলেন। সেটাও ইরানের তিন বন্দিকে অস্ট্রেলিয়া মুক্তি দেয়ার পর। গিলবার্ট বলেছেন, তাঁর কারাবাসের অভিজ্ঞতা দীর্ঘ ও ভয়ঙ্কর।
মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার গিলবার্ট ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট নিয়ে ইরান যান একটি কনফারেন্সে যোগ দিতে। তিনি যখন ইরান ছাড়তে যান, তখন তাঁকে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। মরুভূমির মধ্যে একটি কুখ্যাত কারাগারে তাঁকে রাখা হয়। তাঁর সুরক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ে।
মুক্ত গিলবার্ট জানিয়েছেন, তিনি বন্দি হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা সমানে তাঁকে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। মুক্তির পর তিনি জানিয়েছেন, ''ইরানের মানুষ সাহসী, দয়ালু ও ভালোবাসতে জানেন। তাঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে। কিন্তু আমাকে এখানে অন্যায় সহ্য করতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও ইরানের মানুষের প্রতি ভালোবাসা কমেনি।''
তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত দুই বছর তাঁকে অসহ্য কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু সে সব এখন অতীত। তাঁর মুক্তিতে পরিবার আনন্দে ভাসছে। তাঁর মুক্তি নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গিলবার্ট ধূসর রঙের হিজাব পরে আছেন।
ইরানের সরকারি মিডিয়ার খবর, বিদেশে আটক এক ব্যবসায়ী ও দুই জনের মুক্তির বিনিময়ে ছাড়া হয়েছে গিলবার্টকে। তবে তাঁদের নাম জানানো হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বন্দি বিনিময় নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি শুধু বলেছেন, ''আমরা সবসময়ই মনে করেছি, গিলবার্টকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল।'' ইরানে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, গিলবার্ট ভালো আছেন।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)