1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞায় ইইউ, জাতিসংঘের বিরোধিতা

২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

অ্যামেরিকা একতরফাভাবে ইরানের উপর আবার জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ঘোষণা করলেও ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তার পরোয়া করছেন না৷ জাতিসংঘের মহাসচিবও বিরোধিতা করছেন৷

https://p.dw.com/p/3im30
ছবি: picture-alliance/C. Ohde

ইরানকে ‘শায়েস্তা করতে’ ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক স্তরে যতই চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, সেই নীতি ততই বাধার মুখে পড়ছে৷ ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ত্যাগ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ এখন সেই চুক্তিকেই সম্বল করে ইরানের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা চাপানোর জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন৷ রাশিয়া ও চীন তো বটেই, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো সহযোগী দেশও ওয়াশিংটনের চাপের সামনে নতি স্বীকার করতে নারাজ৷ তা সত্ত্বেও মার্কিন প্রশাসন দাবি করেছে যে, শনিবার থেকে ইরানের উপর ‘স্ন্যাপব্যাক’ নিষেধাজ্ঞা চাপানো হলো৷

রবিবার ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সাফ জানিয়ে দিলেন যে, একতরফাভাবে ইরানের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা চাপানোর অধিকার অ্যামেরিকার নেই৷ তাঁদের মতে, চুক্তি ত্যাগ করায় অ্যামেরিকার সেই আইনি ক্ষমতা হারিয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধানের সঙ্গে মিলে তাঁরা সরকারিভাবে এই অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন৷ ইইউ এবং ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি এক যৌথ বিবৃতিতে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, তারা পরমাণু চুক্তি অক্ষত রাখতে অক্লান্ত উদ্যোগ নিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও সেই উদ্যোগ চালু রাখতে চায়৷

ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন৷ পরমাণু চুক্তির যৌথ কমিশনের প্রধান হিসেবে তিনি এই চুক্তি অক্ষত রাখতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করার অঙ্গীকার করেন৷

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন৷ তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত না পেলে জাতিসংঘ ইরানের উপর আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বিরোধী৷ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিকে লেখা তাঁর চিঠি উদ্ধৃত করেছে সংবাদ সংস্থা এপি৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক প্রস্তাবের মাধ্যমে ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন কিনা, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে গুতেরেস মন্তব্য করেন৷ সোমবার থেকে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এমন প্রেক্ষাপটে একমাত্র ইসরায়েলের মতো হাতে গোনা কিছু দেশ ওয়াশিংটনের পাশে দাঁড়িয়েছে৷ সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আশকেনাজি অ্যামেরিকার উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির উদ্দেশ্যে বাধা দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন৷

ইউরোপীয় দেশগুলির এই জোরালো অবস্থানকে অ্যামেরিকার জন্য বড় আকারের কূটনৈতিক পরাজয় হিসেবে দেখছে ইরান৷ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হাসান রোহানি এমন দাবি করে বলেন, তাঁর দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর লক্ষ্যে জোট গড়ে তোলার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে৷ চূড়ান্ত চাপ সৃষ্টি করার মার্কিন নিতির সামনে ইরান নতি স্বীকার করবে না, বলেন রোহানি৷ তিনি পালটা জবাবেরও হুমকি দিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি)

২০১৮ সালের মে মাসের ছবিঘরটি দেখুন...