1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এখনও কি একঘরে ইরান?

ভুল্ফ ভিল্ডে / এসি১৬ অক্টোবর ২০১৩

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত বিরোধ অবসানের জোরদার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ কিন্তু সব শক্তিই যে ইরানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তুলে নিতে আগ্রহী, এমন নয়৷

https://p.dw.com/p/1A0r9
Delegations from Iran and other world powers sit before the start of two days of closed-door nuclear talks at the United Nations offices in Geneva October 15, 2013. Iran will face pressure on Tuesday to propose scaling back its nuclear programme to win relief from crippling sanctions as talks between world powers and Tehran resume after a six-month hiatus. REUTERS/Fabrice Coffrini/Pool (SWITZERLAND - Tags: ENERGY POLITICS)
ছবি: Reuters

তথাকথিত পাঁচ-যোগ-এক-এর গোষ্ঠী, অর্থাৎ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ ও জার্মানির সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় ইরান এবার স্পষ্ট ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় যে, নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানির নেতৃত্বাধীন নতুন ইরান সরকার যথাশীঘ্র সম্ভব সমস্যাটির সমাধান করতে চান৷

‘‘এছাড়া পশ্চিমি তরফেও মনোভাব পাল্টেছে৷ পশ্চিমি দেশগুলিও অন্তত ইরানের আণবিক কর্মসূচি চালানোর অধিকারটি মেনে নিতে রাজি,'' ডয়চে ভেলে-কে বলেছেন লন্ডনের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ-এর আলি ফতহোল্লাহ-নেজাদ৷ তাঁর মতে ‘‘দু'পক্ষের কাছাকাছি আসার লক্ষণ বিগত দশ বছরে কখনো এমন আশাজনক ছিল না৷''

পশ্চিমি শক্তিরা বিশেষ করে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ কর্মসূচি সম্পর্কে সন্দিহান৷ কিন্তু ইরানের দৃষ্টিকোণ থেকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ জ্বালানি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার পথে একটি অত্যাবশ্যক পদক্ষেপ৷ কাজেই ইরান আলাপ-আলোচনার আগেই আণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে তার পূর্ণ অধিকারের কথা বলেছে৷ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহারও ইরানের একটি দাবি৷

Iran's President Hassan Rohani addresses a High-Level Meeting on Nuclear Disarmament during the 68th United Nations General Assembly at U.N. headquarters in New York, September 26, 2013. REUTERS/Mike Segar (UNITED STATES - Tags: POLITICS)
চাপটা আসলে প্রেসিডেন্ট রোহানি-র উপর, বলে অনেক বিশেষজ্ঞের বিশ্বাসছবি: Reuters

পরিবর্তে ইরান স্বচ্ছতা এবং আস্থা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপের প্রস্তাব দিতে পারে – গ্যারান্টি হিসেবে যে, ইরান কোনোদিন তার আণবিক কর্মসূচি সামরিক কাজে লাগাবে না৷ বলতে কি, আলাপ-আলোচনায় ইরানের প্রতিনিধিদলের প্রাক্তন মুখপাত্র হোসেইন মুসাভিয়ান সম্প্রতি জার্মানির ‘‘ফ্রাংকফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং'' পত্রিকাকে ঠিক এ কথাই বলেছেন৷

পশ্চিমি দৃষ্টিকোণ থেকে কিন্তু ইরানকেই প্রথমে অগ্রণী হতে হবে৷ জেনেভায় আলাপ-আলোচনা হল তার প্রথম পরীক্ষা: বিগত কয়েক সপ্তাহে নানা ইতিবাচক সংকেত ও আভাস-ইঙ্গিতের পর এবার বাস্তব কিছু একটা ঘটা চাই৷ আলাপ-আলোচনার প্রথম দিনেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জরিফ সংকট সমাধানের একটি তিন-দফা পরিকল্পনা পেশ করে সকলকে চমকে দেন – যদিও সেই পরিকল্পনার খুঁটিনাটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি৷ তবে ইরান নাকি এক বছরের মধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছতে আগ্রহী৷ এবং এক থেকে দু'মাসের মধ্যেই সেই ঐকমত্যের প্রথম পর্যায় সম্পন্ন হবে৷

চাপটা আসলে প্রেসিডেন্ট রোহানি-র উপর, বলে অনেক বিশেষজ্ঞের বিশ্বাস৷ ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই নাকি রোহানি-কে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহারের পথে প্রাথমিক সাফল্য প্রদর্শনের জন্য ছ'মাস সময় দিয়েছেন৷ কাজেই পশ্চিমি শক্তিদের এবার রোহানি-র হাতকে শক্ত করতে হবে – অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শিথিল করার প্রস্তাব দিয়ে – বলেছেন ফতহোল্লাহ-নেজাদ৷

কিন্তু সে পথে একাধিক প্রতিবন্ধক আছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানরা ইরানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শিথিল করার বিপক্ষে৷ অন্যদিকে রাশিয়া ও চীন ঐ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে নিজেরাই লাভবান হয়েছে, কাজেই তারা ইরান এবং পশ্চিমের মধ্যে শীঘ্র আপোশে বিশেষ আগ্রহী নয়৷ চীন ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক সহযোগী৷ অন্যদিকে রাশিয়ার ভয়, ইরান যদি ইউরোপে তেল ও গ্যাস সরবরাহ শুরু করে, তাহলে রাশিয়ার নিজের ব্যবসার ক্ষতি হতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য