নিশ্চিহ্ন হলো ইসলামিক স্টেট?
২১ নভেম্বর ২০১৭গত কয়েক দিনে সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস-এর অবস্থান আরো দুর্বল হয়েছে৷ সিরিয়ায় শুধু আলবু কামাল এলাকার ওপরই তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠনটির নিয়ন্ত্রণ ছিল৷ গত সপ্তাহান্তে বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী এবং তাঁর মিত্ররা সেখান থেকেও আইএস-কে হঠিয়েছে৷ ইরাকে শুধু রাওয়া এলাকাতেই নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পেরেছিল আইএস৷ ইরাকের সেনাবাহিনী সম্প্রতি সেখানেও দখল পুনরুদ্ধার করেছে৷
এই পরিস্থিতিতেই ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রোহানি বলেন, ‘‘আল্লাহর ইচ্ছা এবং এ অঞ্চলের মানুষের শক্ত প্রতিরোধের কারণে আজ আমরা এ কথা বলতেই পারি যে, এই শয়তান (আইএস)-কে মানুষের মাথা থেকে হয় সরিয়ে ফেলা হয়েছে, নয়ত তাদের আকার ছোট করা হয়েছে৷''
ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা অবশ্য মনে করেন, আইএস পুরোপুরি হেরে গেছে৷ মঙ্গলবার রোহানির কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এমন দাবি করেন৷ তাঁর এ বার্তা ইরানের সংবাদমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছে৷
এদিকে সিরিয়া বিষয়ক সম্মেলনের আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দু'দেশের চলমান যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ পুটিন বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত করতে এখনো অনেক বাকি, তবে রুশ বাহিনী রাষ্ট্র হিসেবেসিরিয়ার অস্তিত্ব রক্ষাকরেছে৷ ক্রেমলিন থেকে প্রচার করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়৷
বিবৃতি অনুযায়ী সিরিয়ায় সিরীয় এবং রুশ বাহিনীর আইএসবিরোধী যৌথ অভিযানের সমাপ্তিও ঘোষণা করেছেন পুটিন৷ এ সময় তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্র হিসেবে সিরিয়াকে রক্ষা করা গেছে – এ জন্য রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ দিতেই হবে৷ সিরিয়ায় স্থিতাবস্থা ফেরানোর জন্য অনেক কিছু করা হয়েছে৷''
বুধবার সিরিয়া সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপায় খুঁজতে কৃষ্ণ সাগরের সোচি-তে ইরানের প্রেসিডেন্ট রোহানি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন পুটিন৷ সিরিয়ায় আইএসবিরোধী চলমান যুদ্ধে রাশিয়া এবং ইরান আসাদের পাশে রয়েছে৷ অন্যদিকে ২০১৪ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই আসাদবিরোধীদের সমর্থন দিয়ে আসছে তুরস্ক৷
আগামী ২৮ নভেম্বর সিরিয়া সংকট নিয়ে জাতি সংঘের উদ্যোগেও একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)