ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নথি হ্যাক করার অভিযোগ
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪তখন বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। পরে তিনি সরে দাঁড়ান এবং সেই সুবাদে এখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। মার্কিন তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটা হলো তেহরানের তরফে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টার একটি নিদর্শন।
তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের প্রচারের যে সব নথিপত্র গোপন বলে চিহ্নিত করা ছিল, সেই সব নথি হ্যাক করে বাইডেনের প্রচারের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের কাছে ই-মেইল করে পাঠানো হয়েছিল।
বাইডেনের কর্মীরা নীরব
বাইডেনের কর্মীরা ওই মেইলের কোনো জবাব দেননি বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স, এফবিআই, সাইবারসিকিউরিটি ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সির অভিযোগ, তেহরান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই সংস্থাগুলিই জানিয়েছে, রাশিয়া এবং চীনও তাদের স্বার্থে মার্কিন সমাজে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে।
সামাজিক মাধ্যমের সংস্থা মেটা অগাস্টে জানিয়েছিল, হোয়াটস অ্যাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করেছে ইরানের একদল হ্যাকার। মেটা জানিয়েছিল, ওই হ্যাকাররা নিজেদের গুগল ও মাইক্রোসফটের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে এই কাজ করার চেষ্টা করেছিল।
তারা বলেছিল, কোনো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। সংশ্লিষ্ট সকলে যাতে সতর্ক থাকেন, তার জন্য তারা প্রকাশ্যে এই হ্যাক করার চেষ্টার কথা জানাচ্ছে।
মাইক্রোসফটের বক্তব্য
মাইক্রোসফটের তরফে জানানো হয়েছে, নভেম্বরের নির্বাচনের আগে হস্তক্ষেপের চেষ্টা প্রবল হবে। ব্র্যাড স্মিথ জানিয়েছেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক সময় আসবে নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস দুজনেই অভিযোগ করেছেন, হ্যাকাররা তাদের টার্গেট করেছে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)