তেল নিষেধাজ্ঞা
২৩ জানুয়ারি ২০১২আর যে চুক্তিগুলো আছে সেগুলো জুলাইয়ের ১ তারিখের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে৷ তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছেন ইইউর মন্ত্রীরা৷
কেন এই নিষেধাজ্ঞা?
পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির আড়ালে পরমাণু বোমা তৈরি করছে৷ এ কাজ থেকে ইরানকে বিরত রাখতেই নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ৷ এ লক্ষ্যে অ্যামেরিকা আগেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল৷ এবার তাদের ডাকা সাড়া দিল ইউরোপ৷ তবে সাড়া মেলেনি চীন ও ভারতের৷ অর্থাৎ তারা ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় রাজি হয়নি৷ পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে ইরান তেল রপ্তানি করতে না পারলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ ফলে পরমাণূ কর্মসূচি সফল করতে পারবে না৷
গ্রিস, স্পেন, ইটালিতে প্রভাব
ইরানের রপ্তানি করা তেলের প্রায় ২০ শতাংশ যেত ইউরোপে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তেল কেনে গ্রিস৷ কিন্তু সম্প্রতি তারা ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েছে৷ তাই তাদেরকে সহজ শর্তে তেল কেনার সুযোগ করে দিয়েছে ইরান৷ কিন্তু এখন যদি নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান থেকে তেল কেনা বন্ধ রাখতে হয় তাহলে বিপদে পড়বে গ্রিস৷ তবে এমনটা যেন না হয় সে চেষ্টা করছে ইইউ৷ তারা ইরানের বিকল্প তেলের বাজার খুঁজছে৷ এক্ষেত্রে অবশ্য এগিয়ে আসছে সৌদি আরব৷ গ্রিস ছাড়াও আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত স্পেন ও ইটালিও ইরান থেকে অনেক তেল কেনে৷ তাই স্প্যানিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে মানুয়েল গার্সিয়া মারগালো বলছেন, ইইউ'র এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে৷ তবে ইরানের বিকল্প কী হবে সেটা ইতিমধ্যে বের করা হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্পেনের মন্ত্রী মারগালো৷
প্রতিক্রিয়া
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেছে,ন এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত৷ ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার জন্য এমন কঠোর পদক্ষেপ দরকার ছিল৷ তবে রাশিয়া বলছে, এ ধরণের একতরফা সিদ্ধান্ত কোনো সুফল বয়ে আনবে না৷ আর ইরান আবারও হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক