1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরান প্রসঙ্গে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র

জিরো সেলিয়েস/এপিবি (এএফপি/ডিপিএ)১ অক্টোবর ২০১৩

ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের শঙ্কা ও সন্দেহ আলোচনার মাধ্যমে অবসান করা যায় কি? এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কি চমক দেখাবে? এ সব প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷ কারণ, ইরান নিয়ে একমত হতে পারেননি ওবামা ও নেতানিয়াহু৷

https://p.dw.com/p/19s6p
JERUSALEM, ISRAEL - MARCH 19: (ISRAEL OUT) Israeli children wave flags during a rehearsal, a day a head of the arrival of US President Barack Obama at the president's residence on March 19, 2013 in Jerusalem, Israel. Obama will make his first visit as President to the region tomorrow, and his itinerary will include meetings with the Palestinian and Israeli leaders as well as a visit to the Church of the Nativity in Bethlehem. (Photo by Uriel Sinai/Getty Images)
ছবি: Getty Images

ইরান কি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্কে ফাটল ধরাচ্ছে? মার্কিন গণমাধ্যমগুলো এখন এই বিষয়টি নিয়েই মুখর৷ এমনকি, বিশ্লেষকদের আলোচনাতেও উঠে আসছে এই বিষয়টি৷

ঐতিহাসিক ফোনালাপ

একটি ফোনালাপ, আর সেটাই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র ইসরায়েলের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টেলিফোনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানির সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন৷ ঘোষণা দেন যে, দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনের আভাস পাচ্ছেন তিনি৷

ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্ব একে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন৷ কিন্তু ইসরায়েল মোটেও ভালোভাবে দেখছে না বিষয়টিকে৷ নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, এ যেন তোমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু তোমার প্রধান শত্রুর সাথে ভালোবাসার ভান করছে৷ কেন না, দীর্ঘ ৩০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে এমন সরাসরি ফোনালাপ হলো৷

GettyImages 182543908 US President Barack Obama (R) and Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu hold a meeting in the Oval Office of the White House in Washington, DC, September 30, 2013. AFP PHOTO / Saul LOEB (Photo credit should read SAUL LOEB/AFP/Getty Images)
ওবামা ও নেতানিয়াহু...ছবি: Saul Loeb/AFP/Getty Images

ইসরায়েলের বিশ্বাস ভঙ্গ

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলার সময় ইরানের সঙ্গে মধুর সম্পর্কে না জড়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে সাবধান করে দিয়েছিলেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘকে সতর্ক করে বলেছিলেন, ইরানকে বিশ্বাস করলে সেটা হবে চরম বোকামি৷ বলা বাহুল্য, নেতানিয়াহু মনে করেন, আসলে পরমাণু অস্ত্র পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময় নেয়ার কৌশল হিসেবেই সম্পর্কোন্নয়নের কথা বলছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট৷

মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ এবং প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ডোরানও নেতানিয়াহুর সাথে একমত৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ইরানে যে বিতর্কিত কিছু হচ্ছে সেটা উপেক্ষা করার উপায় নেই৷ তবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আগে সেটা খতিয়ে দেখা উচিত৷

অবস্থানের ভিন্নতা

সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ইরানের সাথে সব বিষয়ে স্পষ্ট আলোচনা হয়েছে তাঁর৷ এ বিষয়ে কারো কাছে লুকোবার কিছু নেই৷ তবে বরাবরের মতো ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষেই মত দিয়েছেন নেতানিয়াহু, বলেছেন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি তাদের জন্য হুমকি৷ তাই কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধান না হলে এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সত্যিই হুমকি হয়ে দাঁড়ালে এককভাবে সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেন নেতানিয়াহু৷ বিশ্লেষকদের কথায়, ইরানের ব্যাপারে ওবামা এবং নেতানিয়াহুর দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই ভিন্ন৷ ইরান যাতে পারমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে গড়ে না ওঠে সে ব্যাপারে দু'দেশ একমত হলেও, পদক্ষেপ নেয়া ব্যাপারে দু'দেশের মতভেদ রয়েছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ

ইরানের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচির ব্যাপারে গত সপ্তাহে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো এক বছরের সময়সীমা বেঁধে দিতে একমত হন৷ তবে এক বছরের মধ্যে এটা সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন৷ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে অক্টোবরের ১৫ এবং ১৬ তারিখ জেনেভায় ইরান ও ছয়টি দেশের মধ্যে আলোচনা হবে৷ তবে যেহেতু বেশিরভাগ দেশ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বিগ্ন, তাই তাদের উপস্থিতিতে আলোচনা কতটা ফলপ্রসু হবে – সেটাই এখন দেখার বিষয়, জানান অ্যাশটন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য