ইরানের মিসাইল পরীক্ষা
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড (আইআরজিসি) মঙ্গলবার সামরিক মহড়ায় সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে৷ সংস্থাটির ওয়েবসাইট এমন খবর প্রকাশ করেছে৷ মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মাঝে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল ইরান৷
সামরিক মহড়া
মঙ্গলবার পারস্য উপসাগরে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ব্যালাস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করে৷ পাঁচদিনের এই মহড়া শুরু হয় গেল সোমবার৷
মিসাইলের ক্ষমতা পরীক্ষা
আইআরজিসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যে কোন ধরনের আক্রমণের বিরুদ্ধে ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি কেমন তা দেখাই ছিল এই মহড়ার উদ্দেশ্য৷
সামরিক প্রধানের বক্তব্য
গার্ড প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, ‘‘রেভল্যুশনারি গার্ডের নৌবাহিনীর ব্যালাস্টিক মিসাইলের ব্যবহার একটি নতুন ঘটনা৷ আর তারা শতভাগ নির্ভুলভাবে লক্ষ্যভেদ করতে পারে৷’’
একসাথে পাঁচটি
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মহড়ায় একসাথে পাঁচটি ক্রুজ মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে৷ এসব মিসাইল ২২০০ কিলোমিটার বা ১২০০ মাইল দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে৷ এছাড়া অস্ত্রসজ্জিত ড্রোন ওড়ানো হয়েছে যা একসঙ্গে দু’টো লক্ষ্যে হামলা করতে পারে৷
কাউকে হুমকির উদ্দেশ্যে নয়
ইরানের দাবি, তারা তাদের এই ক্ষমতার প্রদর্শন করছে যে কোন হুমকি থেকে নিজেদের বাঁচাতে, কোন দেশকে হুমকি দেবার জন্য নয়৷
নিত্যঘটনা!
আইআরজিসি প্রায়ই নতুন নতুন সামরিক সক্ষমতা অর্জন ও এর প্রদর্শন করছে৷ গেল বছর তারা বেশ কয়েকটি আন্ডারগ্রাউন্ড মিসাইল সংরক্ষণাগার প্রদর্শন করেছিল৷
রাজনৈতিক টানাপোড়েন
তবে ইরানের এই মহড়া উপসাগরীয় দেশগুলোকে চিন্তিত করছে৷ বিশেষ করে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একরকম উত্তেজনার মধ্যে ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে৷
বাণিজ্য ঝুঁকি
উপসগারীয় অঞ্চলের দেশগুলো বিশ্বে প্রায় ৪০ ভাগ ক্রুড তেলের ব্যবসা করে৷ তাই এসব এলাকায় উত্তেজনা বিরাট বাণিজ্য ঝুঁকি তৈরি করে৷