1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের সঙ্গে বোঝাপড়ায় আগ্রহী অ্যামেরিকা

২৯ জানুয়ারি ২০২১

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইরানের ভারপ্রাপ্ত বিশেষ দূত নিয়োগ করছেন৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন পরমাণু চুক্তিতে ফেরার পূর্বশর্ত হিসেবে তেহরানের উদ্দেশ্যে চুক্তির সব শর্ত মানার আহ্বান জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3oZ4P
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনছবি: Carlos Barria/REUTERS

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জো বাইডেন শুধু অ্যামেরিকার ভয়াবহ করোনা সংকট নিয়েই ব্যস্ত নন৷ পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সামলানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তাঁর প্রশাসন৷ বিশেষ করে ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন৷ তার হাত শক্ত করতে বাইডেন রবার্ট ম্যালিকে ইরানের ভারপ্রাপ্ত বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত করছেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ শুক্রবারই আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে৷ উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে ম্যালি ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি রূপায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন৷

পূ্র্বসূরি ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে আন্তর্জাতিক চুক্তি বর্জন করে ইরানের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছে৷ এমন চাপের মুখে গোটা বোঝাপড়ার ভিত্তি দুর্বল হয়ে উঠেছে৷ ইরানও পালটা পদক্ষেপ হিসেবে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে৷ এবার চুক্তির বাকি স্বাক্ষরকারী দেশগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ওয়াশিংটন তেহরানের সঙ্গে আবার আগের বোঝাপড়ায় আসার চেষ্টা করবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ কারণ ইরানের অন্যান্য বিতর্কিত  কার্যকলাপ সম্পর্কে ট্রাম্প শিবির এবং বিশেষ করে ইসরায়েল ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলির গভীর সংশয় পুরোপুরি উপেক্ষা করা সহজ নয়৷ বিশেষ দূত হিসেবে ম্যালির নাম উঠে আসায় রক্ষণশীল শিবির ইতোমধ্যেই ইরানের প্রতি নরম মনোভাবের অভিযোগ তুলছে৷ তবে অন্যদিকে ক্লিন্টন ও ওবামা প্রশাসনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলে তিনি যথেষ্ট সমীহ অর্জন করেছেন৷ তাঁর বাবা মিশরীয় সাংবাদিক ছিলেন৷

ব্লিংকেন বুধবার ইরান সম্পর্কে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান কিছুটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ তেহরানের প্রতি তার স্পষ্ট বার্তা হলো, ইরানকে আগে পরমাণু চুক্তির সব শর্ত পূরণ করার পথে ফিরে যেতে হবে৷ তারপর অ্যামেরিকাও চুক্তিতে ফিরে যাবে৷ সে ক্ষেত্রে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করা হতে পারে৷ ব্লিংকেন চুক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে অন্যান্য কিছু বিতর্কিত বিষয়ও অন্তর্গত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷

তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জরিফ বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় আগে অ্যামেরিকাকে পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাবার ডাক দিয়েছেন৷

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস বৃহস্পতিবার ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বর্তমান অচলাবস্থা কাটাতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে বর্তমান সংকটের দ্রুত নিরসনের আশা তিনি করছেন না৷ তাঁর মতে, তার আগে অনেক কাজ করতে হবে৷ এ ক্ষেত্রে পরমাণু চুক্তির স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়ারও জোরালো ভূমিকা দেখছেন গুতেরেস৷ তাঁর মতে, এই চুক্তি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার ক্ষেত্রে বড় কূটনৈতিক জয়৷ সেই সাফল্য প্রশ্নের মুখে পড়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)