ইরানের ১৮০-র বেশি কোম্পানি ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা
১ ডিসেম্বর ২০১১ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলার পর ব্রিটেন লন্ডনে ইরানের দূতাবাস বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে এবং তেহরান থেকে যুক্তরাজ্যের সকল কূটনৈতিক কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে৷ জার্মানি সহ একাধিক দেশ ইরানে তাদের রাষ্ট্রদূতদের দেশে তলব করেছে৷
ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা আইএইএ'র সর্বশেষ রিপোর্টে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে এই সন্দেহ আরো বেশি জোর পাওয়ার পর থেকেই তার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছিল৷ তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলার ঘটনা ইউরোপের দেশগুলোর দিক থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারটা ত্বরান্বিত করল৷ বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইইউ'এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে তেহরানের অসম্মতির কারণে ইরানের ১৮০টিরও বেশি কোম্পানি ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন৷ শুধু তাই না - আরো কি কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায় তা নিয়ে কাজ করতেও তাঁরা সম্মত হয়েছেন৷ এমনকি ইরানের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি খাতও এই নিষেধাজ্ঞার শিকার হতে পারে বলে ওয়াকেবহাল মহল মনে করছেন৷
লক্ষ্যটা হলো ইরানের অর্থের উৎসটাকে বন্ধ করা৷ যাতে পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ইরান না পায়৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলেও চান ইরানের আর্থিক উৎস বন্ধ করতে৷ আর তাই জ্বালানি আর অর্থখাতে নতুন নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলে তিনি মনে করেন৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়ম হেগ বলেন, তিনি আশা করেন যে, ইইউ'এর নতুন নিষেধাজ্ঞা তেহরানের আর্থিক কাঠামোর একেবারে মূলে গিয়ে আঘাত হানবে৷
ইইউ'র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তাঁদের ব্রাসেলস বৈঠকে নিষেধাজ্ঞাধীন ইরানি কোম্পানি ও ব্যক্তির তালিকা প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর জানালেন যে, জ্বালানি খাত, অর্থ খাত এবং পরিবহণ খাতের ওপরেও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেতে পারে৷ তাঁরা বলেন, তাঁদের আগামী বৈঠক জানুয়ারি মাসে৷ তার মধ্যেই এনিয়ে একটা সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে৷
প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ