ইসরায়েল ভ্রমণে যে ১০টি জায়গায় যাওয়া উচিত
১৯৪৮ সালের ১৪ই মে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়৷ দেশটিতে বিভিন্ন ধর্মের নানা পবিত্র স্থান আছে৷ সেই সঙ্গে আছে পর্যটকদের খুশি করার মতো বহু আকর্ষণীয় বস্তু৷
তেল আভিভ-জাফা
ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৯ সালে ও ধীরে ধীরে প্রাচীন বন্দরনগরী জাফার সঙ্গে মিলে যায়৷ তাই শহরটির সঠিক নাম হলো তেল আভিভ-জাফা৷ উদার, খোলামেলা, বিশ্বজনীন একটি মহানগরী, যেখানে আর্ট গ্যালারি থেকে শুরু বার-রেস্টুরেন্ট-নাইট ক্লাবের কোনো কমতি নেই৷
সমুদ্রসৈকতে
ইসরায়েলের ভূমধ্যসাগর উপকূলে প্রায় ২৭০ কিলোমিটার ধরে চলে গেছে একটানা সৈকত ও বেলাভূমি৷ এক তেল আভিভেই সাগরপাড়ের দৈর্ঘ্য ১৪ কিলোমিটার – কাজেই সূর্যস্নান, অবগাহন-সন্তরণ বা জলক্রীড়ার সুযোগের কোনো অভাব নেই৷ সাগরের পানির নীচে ডাইভিংয়ের জন্য আছে দক্ষিণ ইসরায়েলে লোহিত সাগরের উপকূলে এইলাট সৈকতাবাস৷
‘বাওহাউস’ স্থাপত্য
তথাকথিত ‘হোয়াইট সিটি’-তে জার্মান ‘বাওহাউস’ শৈলীর প্রায় ৪,০০০ ভবন আছে, যেগুলিকে আজ ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের তালিকায় পাওয়া যাবে৷ গত শতাব্দীর বিশের ও চল্লিশের দশকে নির্মিত এ ধরনের বাড়ি হাইফা, জেরুসালেম ও অপরাপর শহরেও দেখতে পাওয়া যাবে৷
মৃত সাগরের সঞ্জীবনী
ডেড সি বা মৃত সাগরের পানি এত লবণাক্ত যে, মানুষ সেখানে সাঁতার না কেটেও ভেসে থাকতে পারে৷ ভেসে ভেসে খবরের কাগজ পড়াও সম্ভব! আবার স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো, কেননা, মৃত সাগরের পানি আর মাটি নাকি চর্মরোগ থেকে মুক্তি দেয়৷
জেরুসালেম
জেরুসালেমের প্রাচীন অংশে ইহুদি, ইসলাম ও খ্রিষ্টান ধর্মের পবিত্র স্থান দেখতে পাওয়া যাবে৷ ‘হোলি সেপালকার’ গির্জায় যিশুখ্রিষ্টের কবর আছে বলে কথিত৷ এছাড়া রয়েছে ইহুদিদের ‘ওয়েলিং ওয়াল’ বা বিলাপের প্রাকার ও সেই সঙ্গে মুসলিমদের ‘ডোম অফ দ্য রক’, যার সোনালি গম্বুজ দর্শনীয়৷
ইয়াদ ভাশেম
জেরুসালেমে কেন্দ্রীয় হলোকস্ট স্মৃতিসৌধটির নাম ইয়াদ ভাশেম৷ নাৎসি জার্মানিতে যে প্রায় ষাট লাখ ইহুদি বন্দিশিবিরে ও অন্যত্র নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের স্মরণে সৃষ্ট এই সৌধ ইহুদি মানস ও ইসরায়েলি রাষ্ট্রসত্তার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত৷
‘কিবুৎস’ ও কিংবদন্তি
সমাজতান্ত্রিক আদর্শ থেকে সৃষ্ট এই খামারগুলি ইসরায়েলি আত্মদর্শন ও ইতিহাসের উপর গভীর ছাপ ফেলেছে৷ আজ অবশ্য এসব খামারে বহু মানুষের বাস৷ প্রথম কিবুৎসটি সৃষ্টি হয় ১৯১০ সালে৷ এখনো তা টিকে আছে৷ পর্যটকরা প্রায় আড়াইশ’ কিবুৎসে রাত কাটাতে পারেন৷
সুখাদ্য
ইসরায়েলের সর্বত্র পথেঘাটে সদ্য পেষা ফলের রস কিনতে পাওয়া যায়৷ খাবারদাবারও ইহুদি প্রথামতো ‘কোশার’ ছাড়া আরব কিংবা অপরাপর দেশের রান্নাও হতে পারে৷ বাজারে টাটকা সবজি, মশলা, অলিভ বা কেক-বিস্কুটের কোনো অভাব নেই৷
বেথলেহেম
যে গুহাটিতে যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন, ঠিক তার উপরেই নাকি ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত গির্জাটি গড়া হয়৷ ধর্মপ্রাণ খ্রিষ্টানরা এখান থেকে ৬৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে সি অফ গ্যালিলি অবধি যান৷
সি অফ গ্যালিলি
ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিঠে পানির আধার এই হ্রদ, বাইবেলে বহুবার যার নাম পাওয়া যায়৷ যিশুখ্রিষ্টের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এই সি অফ গ্যালিলি, যাকে লেক গেনেসারেটও বলা হয়ে থাকে৷