৩ হামাস নেতা নিহত
২১ আগস্ট ২০১৪আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকটের অবসানের আশা খতম হবার পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা গ্রহণ করছে৷ বৃহস্পতিবার গাজায় এক বিমান হামলায় হামাসের তিন উচ্চপদস্থ সামরিক নেতার মৃত্যু হয়েছে৷ বুধবার মাঝরাতের পর ইসরায়েলি বিমানবাহিনী প্রায় ২০ বার হামলা চালিয়েছে৷ এর মধ্যে দক্ষিণে রাফাহ শহরের কাছে একটি বাড়ির উপর হামলার সময় সেখানে মহম্মদ আবু শামালেহ, মহম্মদ বারহুম ও রায়েদ আল-আত্তার সেখানে ছিলেন৷ ইসারেয়েলের উপর অনেক হামলার সঙ্গে তাদের নাম জড়িত ছিল৷ চলমান সংঘাতের ৪৫তম দিনে সব মিলিয়ে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷
এই ঘটনার পর হামাসের এক জঙ্গি সংগঠন বিদেশি বিমান সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি করে৷ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার পর ইসরায়েলি আকাশ সীমায় যাত্রীবাহী বিমান বিপন্ন হতে পারে বলে তারা হুমকি দেয়৷ এর পর বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ১০ মিনিটের জন্য বিমান চলাচল বন্ধ রাখার পর আবার স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ৷
বর্তমান সংকট কাটাতে মিশরের মধ্যস্থতায় কায়রোয় আলোচনার সময় মঙ্গলবার হামাস ইসরায়েলের উপর হামলা শুরু করে৷ ফলে ইসরায়েলও আলোচনা বন্ধ করে পালটা হামলা শুরু করে৷ বুধবার হামাস সামরিক প্রধান মহম্মদ দেউফিম-এর উপর ইসরায়েলি হামলা বিফল হয়৷ হামলায় তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু হয়৷
সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার পর ইসরায়েল আর আলোচনার পথে ফিরে যেতে চায় না৷ বুধবার এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, সর্বশক্তি দিয়ে এই অভিযান চলবে৷ যতদিন না বিশেষ করে ইসরায়েলের দক্ষিণে মানুষের নিরাপত্তার গ্যারেন্টি দেওয়া সম্ভব, ততদিন তাঁর সরকার অভিযান থামাবে না৷
এই অবস্থা সত্ত্বেও মিশর দুই পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে মধ্যস্থতার উদ্যোগ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে৷ অন্যদিকে কাতারও এই সংকটের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷ সেখানেই হামাসের নেতা খালেদ মাশাল নির্বাসনে রয়েছেন৷ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রশাসনের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, যে কাতারই মিশরে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ করেছে৷ এমনকি মিশরের শান্তি প্রস্তাব গ্রহণ করলে খালেদ মাশালকে কাতার থেকে বহিষ্কার করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিলো বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ এক ইসরায়েলি কর্মকর্তাও কাতারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন৷
এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)