ইসরায়েলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রি বন্ধ চায় নিকারাগুয়া
৮ এপ্রিল ২০২৪নিকারাগুয়ার কূটনীতিক কার্লোস খোসে আর্গুয়েলিও গোমেজ বলেন, গাজায় গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে৷
ইসরায়েলকে সমর্থন করে জার্মানি জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করছে বলে ১ মার্চ আইসিজেতে অভিযোগ করেছিল নিকারাগুয়া৷ এরপর সোম ও মঙ্গলবার শুনানির দিন নির্ধারণ করে আইসিজে৷ এর অংশ হিসেবে সোমবার নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করেন নিকারাগুয়ার কূটনীতিক গোমেজ৷ মঙ্গলবার নিজেদের যুক্তি তুলে ধরবে জার্মানি৷ এর কয়েক সপ্তাহ পর আদালত রায় দিতে পারে৷ অবশ্য আইসিজে কাউকে তার রায় মানতে বাধ্য করতে পারে না৷ তবে সরকারের উপর রাজনৈতিক ও নাগরিকদের পক্ষ থেকে চাপ তৈরি করতে পারে এই আদালতের রায়৷
এর আগে জানুয়ারিতে দেওয়া এক রায়ে আইসিজে বলেছিল, গাজায় হামলার সময় ইসরায়েল জেনোসাইড কনভেনশনে নিশ্চিত করা কিছু অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে সাউথ আফ্রিকা যে অভিযোগ এনেছে, তা বিশ্বাসযোগ্য৷
হলোকস্টের সময় ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার পর এমন ঘটনা যেন আর কোনো দেশে না ঘটে সেজন্য ১৯৪৮ সালে জেনোসাইড কনভেনশন তৈরি করেছিল জাতিসংঘ৷
সুইডেনের স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপ্রির হিসেব বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করা দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে জার্মানি৷ ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার পর জার্মানি ইসরায়েলকে অতিরিক্ত অস্ত্র সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে৷
এদিকে, ইসরায়েলে হামলায় ইউএনআরডাব্লিউএর ১২ কর্মী জড়িত ছিলেন বলে ইসরায়েলের অভিযোগের পর যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি সংস্থাটির সহায়তা স্থগিত করে দেয়৷
হামাসের হামলায় ইসরায়েলের প্রায় ১,২০০ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷ এর মধ্যে অন্তত সাড়ে ৮০০ জন সাধারণ নাগরিক৷
এদিকে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ৷
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিকদের উপর নির্বিচারে হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে৷ ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, গাজায় সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি৷
জেডএইচ/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)