ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কতটা আধুনিক
কলকাতায় চালু হয়েছে মেট্রো রেলের নতুন রুট। নতুন এই মেট্রো সব দিক থেকেই আধুনিক। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
বহু দিনের ফসল
২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। ২০১২ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার প্রথম পর্যায় শুরু করা গেল ২০২০ সালে। সব কাজ হয়ে গেলে পূর্বে বিমানবন্দর থেকে পশ্চিমে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত চলবে এই মেট্রো। যাবে গঙ্গার তলায় তৈরি সুড়ঙ্গ দিয়ে। তবে আপাতত সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত চলবে এই মেট্রো।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি
বিশেষজ্ঞদের দাবি, নতুন মেট্রোতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। পুরনো মেট্রোর চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে চলবে এই মেট্রো।
মাটির উপরে এবং নীচে
একই সঙ্গে মাটির উপরে এলিভেটেড ট্র্যাকে এবং মাটির নীচে সুড়ঙ্গ দিয়ে চলবে এই মেট্রো। তবে আপাতত যে টুকু পথ পাড়ি দিচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো তা পুরোটাই মাটির উপর দিয়ে।
আত্মহত্যা আটকানোর ব্যবস্থা
মেট্রোয় আত্মহত্যা কলকাতা মেট্রোর একটি বড় সংকট। তা আটকাতে নতুন মেট্রোয় বিশেষ দরজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মে মেট্রো না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে লাইন এবং প্ল্যাটফর্মের মাঝের দরজা। ট্রেন এলেই একমাত্র সেই দরজা খুলবে।
নতুন ডিসপ্লে বোর্ড
পুরনো মেট্রোর মতো স্টেশনের নাম লেখা ডিসপ্লে বোর্ড থাকবে নতুন মেট্রোয়। একই সঙ্গে দরজার উপরে লাগানো হয়েছে আরও একটি ডিসপ্লে বোর্ড। স্টেশন এলে নামের পাশে জ্বলে উঠবে আলো।
বয়স্ক মানুষদের জন্য বসার জায়গা
বয়স্ক মানুষদের বসার জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা রয়েছে এই ট্রেনে। একই সঙ্গে রয়েছে হুইল চেয়ার তোলার বিশেষ ব্যবস্থা।
কামরায় জায়গা অনেক বেশি
পুরনোর মেট্রোর চেয়ে নতুন মেট্রোয় দাঁড়ানোর জায়গা অনেকটাই বেশি। অপেক্ষাকৃত বেঁটে মানুষরা যাতে সহজে ধরে দাঁড়াতে পারেন, তার জন্যও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক গেট
মেট্রোয় প্রবেশের সময় বিশেষ ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক দরজার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে টোকেন দেখালে আপনাআপনি খুলে যাবে দরজা।
প্ল্যাটফর্মে টয়লেট
প্রতিটা প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের জন্য বানানো হয়েছে টয়লেট। পুরনো মেট্রোয় এটি একটি বড় অসুবিধা ছিল। অসুস্থ হয়ে পড়লেও যাত্রীদের টয়লেটে যাওয়ার সুযোগ ছিল না।