ইস্তানবুলেই শেকড় এর্দোয়ানের
ইস্তানবুলের মেয়র পুনর্নির্বাচনেও জয় পেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের বিরোধীরা৷ কিন্তু তাই বলে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ইস্তানবুলে প্রভাব হারিয়েছেন মনে করলে ভুল হবে৷ জন্মস্থান কাসিমপাসা এখনও তাঁর পক্ষেই আছে৷
এর্দোয়ানের শহর
বিখ্যাত গালাটা টাওয়ার থেকে হাঁটা দূরত্বে ইস্তানবুলের ইউরোপ অংশে ইসতিকলাল অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত কাসিমপাসা৷ ৬৫ বছর আগে এখানেই জন্মেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷ ইস্তানবুলের এই অংশেই তাঁর কট্টর সমর্থকদের বাস৷
নতুন যুগ
গত গ্রীষ্মেই আধুনিক তুরস্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়৷ ২০১৮ সালের ২৪ জুন নতুন করে ৫ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন৷ দেশটির ইতিহাসে এতো ক্ষমতাবান প্রেসিডেন্ট এর আগে আসেননি৷ শপথ নেয়ার দিন নিজের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি- একেপির সদস্যদের এর্দোয়ান বলেন, ‘তুরস্ক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে’৷
ব্যাপক ক্ষমতাধর
২০১৭ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে দেশটির সংবিধান সংশোধন করা হয়৷ সংসদীয় গণতন্ত্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় তুরস্ক৷ এর ফলে একই সঙ্গে সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন এর্দোয়ান৷ ১৯২৩ সালে দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক তুর্কি রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটিই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন৷
পরিবারের সদস্য
এর্দোয়ানের মুখ ও একেপির দলীয় পতাকায় ছেয়ে আছে কাসিমপাসা৷ দেয়ালে টানানো পোস্টার বা ব্যালকনিতে ঝুলছে ব্যানার৷ কাসিমপাসার মানুষ কাকে সমর্থন করছে, সেটি স্পষ্ট৷ বিরোধী দলের ও প্রার্থীর পোস্টার প্রায় নেই বললেই চলে, যা আছে, তাও ছেঁড়া৷ কাসিমপাসার মানুষ এর্দোয়ানকে নিজের পরিবারের সদস্য বলেই মনে করেন৷
সাধাসিধে জীবন
এর্দোয়ান একটি রক্ষণশীল, খেটে খাওয়া পরিবারের অংশ হয়ে বড় হয়েছেন৷ তাঁর সমর্থকদের অনেকেই এমন জীবনের সঙ্গে পরিচিত৷ জীবনের বেশিরভাগ সময় কাসিমপাসাতেই কাটিয়েছেন তিনি৷ এখানেই শুরু তাঁর রাজনৈতিক জীবন৷ ১৯৯৪ সালে তিনি প্রথম ইস্তানবুলের মেয়র হন, ২০০৩ সালে হন প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট হন ২০১৪ সালে৷