1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়াং গ্লোবাল লিডার বাংলাদেশের মালিহা

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৬ মার্চ ২০১৭

চ্যালেঞ্জিং ও সৃজনশীল কাজ করেন ৪০-এর কম বয়সি এমন মানুষদের মধ্য থেকে প্রতি বছর ১০০ জনকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার'-এর স্বীকৃতি দেয় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম৷ এই স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশের মালিহা এম কাদির৷

https://p.dw.com/p/2ZK3I
মালিহা এম কাদির
ছবি: Shohoz.com

তিনি বাংলাদেশের ‘সহজ ডটকম' নামে একটি অনলাইন পোর্টালের প্রধান৷ এই পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে বাস, লঞ্চ ও ফেরির টিকেট বিক্রি করা হয়৷

২০১৪ সালে মাত্র পাঁচজনকে নিয়ে এই কাজ শুরু করেন মালিহা৷ এখন সেখানে কাজ করেন ৮০ জন৷ কর্মীর সংখ্যা একশ'তে উন্নীত হবে শিগগিরই৷ মালিহা ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘এটা সামান্যই৷ আমরা যে সেক্টর নিয়ে কাজ করছি বাস ও লঞ্চের অনলাইন টিকেট – এখানে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে৷''

২০০৮ সালে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ করা মালিহা বস্টনের স্মিথ কলেজ থেকে অর্থনীতি এবং কম্পিউটার সায়েন্সে আন্ডার গ্রাজুয়েট৷ এমবিএ পড়ার মাঝে বিরতি নিয়ে বাংলাদেশে এসে ব্র্যাক ডটনেটে কাজ করেছেন৷ এমবিএ করার পর সিঙ্গাপুরে নকিয়াসহ বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করেছেন৷

মালিহা এম কাদির

সেসব কাজ ছেড়ে বাংলাদেশে বাস, লঞ্চের অনলাইনে টিকেট বিক্রির কাজ নিলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মালিহা বলেন, ‘‘আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি৷ নতুন কিছু করতে চাই৷ উন্নত বিশ্বে বাস ট্রেনের টিকেট অনলাইনেই বিক্রি হয়৷ বিমানের টিকেটও৷ আর তখন থেকেই আমি বাংলাদেশে বাস, লঞ্চ ও ফেরির টিকেট কাটা ও বিক্রি অনলাইনে করার উদ্যোগ নেই৷''

তিনি বলেন, ‘‘বাস, লঞ্চ এমন যানবাহন সবাই এবং প্রতিদিন ব্যবহার করেন৷ আর এর সম্ভাবনা আমার কাছে বেশি মনে হওয়ায় আমি অনলাইন টিকেটিংয়ের জন্য এগুলোকেই বেছে নেই৷''

‘‘তবে কাজটি এত সহজে হয়নি, কারণ, বাংলাদেশের বাস আর লঞ্চের টিকেট যারা বিক্রি করেন, তাঁরা কম্পিউটারই বোঝেন না৷ আর তারা যদি টিকেট বিক্রিতে সহজডটকম-এর সফটওয়্যার ব্যবহার না করেন, তাহলে জানা যাবে না কতগুলো সিট খালি আছে৷ তাই তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হয় এবং সফটওয়্যারের ব্যবহার শেখাতে হয়৷'' বললেন মালিহা৷

তিনি জানান, ‘‘সবচেয়ে বড় বাধা ছিল পরিবর্তনকে মেনে না নেয়৷ পরিবর্তনের ভয়৷ অনেকে মনে করেছেন তাদের কাজ চলে যাবে৷''

কিন্তু প্রশাসন বা সরকারের মনোভাব ছিল সহযোগিতামূলক৷ তাই অতি দ্রুত প্রতিষ্ঠানের সরকারি অনুমতি পাওয় যায় বলে জানান তিনি৷

বাংলাদেশের এই নারী উদ্যোক্তা মনে করেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ সহজেই প্রযুক্তি ধরতে পারেন৷ তাই ১৬ কোটি মানুষের এই দেশেই কমার্সের সম্ভাবনা অনেক৷ কিন্তু সময় লাগবে৷ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও সময় লেগেছে৷''

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম যাদের ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার্স ক্লাস অব-২০১৭-' এ অন্তর্ভূক্ত করেছে, তাঁদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি মলিহা৷ তাঁদের ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, ‘‘মালিহা বাংলাদেশের পরিবহন শিল্প খাত ডিজিটালাইজেশনে যুগান্তকারী কাজ করেছেন৷''

মালিহাকে এজন্য তাদের একটি কমিউনিটিতে যোগদান এবং পাঁচ বছরের একটি লিডারশিপ প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ আয়োজকদের বিশ্বাস, এটা তাদের মানসিকতার উন্নয়ন ঘটাবে, বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে পারস্পরিক সেতুবন্ধন তৈরি করবে৷ ইতিবাচক বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা সম্মিলিতভাবে নিজেদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারবেন৷

মালিহা জানান, তিনি তাদের ওয়েবসাইটে খবরটি দেখেছেন, তবে এখনো ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয়নি৷

বন্ধু, প্রতিবেদনটি আপনার কেমন লাগলো? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য