ঈদ উল আজহা
১৬ অক্টোবর ২০১৩রাজধানীর লঞ্চ, ট্রেন আর বাস স্টেশনে এখনও ঘরমুখো মনুষের ভিড়৷ পশুর হাটেও চলছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কোরবানির পশু কেনা৷ বুধবারে ঈদ উল আজহার নামাজের জন্য জাতীয় ঈদগাসহ সারা দেশের ঈদগা এবং মসজিদগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত৷ মঙ্গলবার ঢাকার ঈদগার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক সন্তোষ প্রকাশ করলেও, রাজনৈতিক প্রশ্নের মুখোমুখি হন৷ তিনি আশা করেন, রাজনৈতিক সংকটের মাঝেও দেশবাসী আনন্দে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন৷
এবার ঈদগায়ের নিরাপত্তা চোখে পড়ার মতো৷ সিসিটিভি, ডগ স্কোয়াড, মেটাল ডিটেকটর – সব কিছুই কাজে লাগানো হচ্ছে৷ পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ জানিয়েছেন, সব দিক বিবেচনায় রেখেই এবার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশেই বাড়তি নিরপত্তার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর৷ পুলিশ কমিশনার জানান, কোনো ধরণের নাশকতার আশঙ্কা না থাকলেও তা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না৷ ঈদের নামাজের সময় ব়্যাব পুলিশের দৃশ্যমান টহল ছাড়াও থাকছে গোয়েন্দা নজরদারি৷
এদিকে মিরপুর মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি মো. এহসানুল হক ডয়চে ভেলেকে জানান, দেশের এক চরম সংকটকালে এবার পবিত্র ঈদ উল আজহা উদযাপিত হচ্ছে৷ তিনি বলেন, এই ঈদে পশু কোরবানির মানে হলো মনের পশুকে কোরবানি করা৷ নিজের সব দোষকে কোরবানি করা৷ ব্যক্তি, সমাজ এবং জাতীয় জীবনে এখন যে হিংসা, বিদ্বেষ, সংঘাত চলছে তা যদি কোরবানি দেয়া যায়, তাহলেই কোরবানি স্বার্থক হবে৷ তাঁর কথায়, দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না৷ অথচ তাদের উচিত কোরবানির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশের মানুষের কল্যাণ চিন্তা করে সংঘাত এড়িয়ে সমঝোতার দিকে যাওয়া৷
ওদিকে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ তাঁরা আশা করেছেন যে, সবার ঘরে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়বে৷ বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও তাঁর বাণীতে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ঈদের আনন্দ সবার পক্ষে উপভোগ করা সম্ভব হবে না৷