1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঈদে অনশন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩০ জুলাই ২০১৪

বাংলাদেশে তুবা গ্রুপ নামের পোশাক কারখানার ১,৬০০ শ্রমিক ঈদের বেতন, বোনাস না পেয়ে ঈদের দিন অনশন কর্মসূচি পালন করেন বাড্ডায় কারখানা ভবনের সামনে৷ বেতন, ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন৷

https://p.dw.com/p/1ClxX
Frauen Textilarbeiterinnen Näherinnen Bangaldesch Gewandnäherinnen
(ফাইল ফটো)ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

এরকম আরো অনেক পোশাক কারখানার শ্রমিক ঈদের বেতন, ভাতা পাননি বলে জানা গেছে৷

পোশাক কারাখানার মালিকরা ঈদের আগেই ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেই কথা রাখেননি ঢাকার বাড্ডার তুবা গ্রুপের মালিক দেলোয়ার হোসেন৷ এই দেলোয়ার হোসেন হলেন বহুল আলোচিত তাজরিন ফ্যাশানের মালিক৷ ২০১২ সালের নভেম্বরে এই তাজরীন ফ্যাশানেই দেলোয়ার হোসেনের অবহেলায় আগুন লেগে ১২৪ জন শ্রমিক নিহত হন৷ যাদের ক্ষতিপূরণও দেননি তিনি৷

বাড্ডায় দেলোয়ার হোসেনের তুবা গ্রুপের অধীনে মোট পাঁচটি পোশাক কারখানা রয়েছে৷ এগুলো হলো: তুবা ফ্যাশান, তুবা টেক্সটাইল, তুবা বুকশান, মিতা ডিজাইন ও টাইপ ডিজাইন৷ আর এই পাঁচটি কারখানায় মোট ১,৬০০ শ্রমিক কাজ করেন৷

শ্রমিকরা গত তিনমাস ধরে কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না৷ আশা ছিল ঈদের আগে বেতন-ভাতা পাবেন৷ মালিক প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি৷

শ্রমিকরা তাদের মালিকের টালবাহানা বুঝতে পেরে আগেই বিজিএমইএকে জানিয়েছিল৷ ঘেরাও করেছিল মালিককে৷ তাতেও কাজ না হওয়ায় তাঁরা ঈদের আগেরদিন থেকেই অনশন শুরু করে৷ মঙ্গলবার ঈদের দিনও তাঁদের কেটেছে কারখানার সামনে অনশনে৷

অনশনরত তুবা ফ্যাশনের শ্রমিক হানিফ বলেন, ‘‘আমরা তিনমাস ধরে বেতন না পেলেও আমাদের আশা ছিল ঈদের সময় অন্তত বোনাস পাবো৷ কিন্তু আমাদের কিছুই হলো না৷''

কারখানা তালা লাগানো৷ তাই শ্রমিকরা কারখানা ভবনের সামনে এবং পাশের একটি সাততলা ভবনের ছাদে একত্রিত হয়ে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন৷ তাঁদের চোখে মুখে কান্না আর তীব্র হতাশা৷ তাঁদের সান্ত্বনা বা আশ্বাস দেয়ারও কেউ নেই৷

শ্রমিকরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘‘সবাই যেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে খুশিতে ঈদ উদযাপন করছে সেখানে আমরা বেতন বোনাস না পেয়ে অনশন করছি৷ এটা কিসের ঈদ৷ কিসের সাম্য৷''

তাঁরা বলেন, ‘‘এই হাত দিয়েই আমরা ব্রাজিল বিশ্বকাপের জার্সি বানিয়েছি৷ আমাদের হাতে তৈরি হওয়া জার্সি পরে খেলেছেন ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা৷ মালিক টাকা কামিয়েছেন৷ অথচ আমরাই আজ নিগৃহীত৷ আমাদের গায়েই ঈদের পোশাক নেই৷''

তাঁরা বলেন, ‘‘আমাদের দেখার কেউ নেই৷ আমরা তো সাহায্য চাচ্ছি না৷ আমরা আমাদের পরিশ্রমের মজুরি নিতে চাচ্ছি৷ তবুও কেনো আমরা তা পাবো না?''

এদিকে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ জলিল জানান, ‘‘শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবেই অনশন পালন করছেন৷ তবুও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা এড়াতে৷''

তিনি জানান পুলিশের পক্ষ থেকে তুবা গ্রুপ কর্তৃপক্ষ এবং বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে৷ কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য