ঈদের বিশেষ ট্রেনে কলকাতা
ঈদের ভিড় সামলাতে কলকাতা থেকে বিশেষ ট্রেন চললো। ঈদ সেরে জেলা থেকে ফেরার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা সোমবার পর্যন্ত।
মুর্শিদাবাদের জন্য বিশেষ ট্রেন
ঈদে কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার জন্য বিশেষ ট্রেন চালালো রেল মন্ত্রণালয়। শিয়ালদহ থেকে ট্রেন চললো নদিয়া হয়ে মুর্শিদাবাদ। মুর্শিদাবাদের জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশই মুসলিম। তাদের অনেকে কাজের সূত্রে কলকাতায় থকেন। তারা যাতে ঈদে ভালোভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন তার জন্যই এই বিশেষ ট্রেন।
অধীরের অনুরোধ মেনে
বহরমপুরের সাংসদ ও লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী এই ট্রেন চালাবার জন্য রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তারপর রেলমন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নেয়। অধীর চৌধুরীকেও সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয় তারা।
সোমবার পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থা
যারা ঈদের জন্য নিজেদের বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাদের ফিরে আসার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করেছে রেল মন্ত্রণালয়। রোববার মুর্শিদাবাদ থেকে একটি বিশেষ ট্রেন শিয়লদহে এসেছে। সোমবার মুর্শিদাবাদ ও শিয়লদহের মধ্যে চলাচলকারী সব লালগোলা এক্সপ্রেসে বাড়তি কামরা লাগানো হয়েছে।
আরামে সফর
ঈদের বিশেষ ট্রেনটি সাধারণ শহরতলির ট্রেন নয়। এখানে বসার আসনগুলো ভালো। পাখা রয়েছে। আরামেই সফর করতে পেরেছেন যাত্রীরা।
নদিয়া দিয়ে
এই বিশেষ ট্রেনের ফলে শুধু মুর্শিদাবাদের যাত্রীরাই উপকৃত হয়েছেন তা নয়, নদিয়ার বাসিন্দারাও হয়েছেন। নদিয়াতেও প্রায় ২৭ শতাংশ মানুষ মুসলিম। বিশেষ ট্রেন রানাঘাট, কৃষ্ণনগর হয়ে বেলডাঙ্গা, বহরমপুর, কাশিমবাজার, মুর্শিদাবাদ, জিয়াগঞ্জ, ভগবানগোলা গেছে। এই ট্রেনে চড়ার জন্য তাই যাত্রীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে
ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মা। ছেলে একেবারে ঈদের সাজে। ট্রেন ধরার তাড়ায় স্টেশনের ভিতরে ঢুকে প্রায় দৌড় লাগালেন তারা।
সপরিবারে ঘরে ফেরা
বাচ্চা বাবার কোলে। স্বামী-স্ত্রী খুঁজে দেখছেন একটু খালি কামরা কোথায় পাওয়া যায়।
যাত্রী খুশি
বিশাখপত্তনম থেকে মুর্শিদাবাদে ফিরছেন সাহেব শেখ। ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন। ডিডাব্লিউকে বললেন, ''এমনিতে রাত সাড়ে এগারোটায় ট্রেন। তাতে প্রচুর ভিড় হয়। বিশেষ ট্রেন দিয়েছে বলে একটু আরামে ও সময়ে পৌঁছে যাব। আমি খুব খুশি। রেলের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই।''
বাচ্চাকে দেখতে
আব্দুল আলিমের এক বাচ্চা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। সাড়ে পাঁচ বছরের আরেকটি বাচ্চা বাড়িতে। ডিডাব্লিউকে বললেন, ওই বাচ্চার জন্যই ঘরে ফিরছেন তিনি। বিশেষ ট্রেন দেয়ায় খুবই সুবিধা হয়েছে।
খুশি অন্যরাও
কাজে কেরালায় গেছিলেন খোকন হালদার। ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন। বললেন, বিশেষ ট্রেন পাওয়ায় সময়মতো ও ভিড় এড়িয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন।